বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় নয় কমিটি গঠিত
বরাক তরঙ্গ, ২৫ আগস্ট : বরাক ভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৫ আগস্ট শিলচর সদরঘাটের মিলন মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডাঃ কুমারকান্তি দাসের (লক্ষণ দাস) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি তথা রামকৃষ্ণ নগর বিএড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষ্ণরঞ্জন পাল, হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সুশান্ত মোহন চ্যাটার্জি, কাছাড় জেলার প্রাক্তন সভাপতি ড. মনোজ কুমার পাল, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি আশু পাল, প্রশান্ত কুমার বসু প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন আশু পাল। কেন্দ্রীয় সম্পাদক করুণাময় পাল এর পাঠানো বিগত দিনের কাজকর্মের লিখিত বিবরণ সহ সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করে শোনান কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি আশু পাল। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক করুণাময় পাল পারিবারিক বিভিন্ন অসুবিধায় পাকাপাকি ভাবে শিলচর ছেড়ে দেরাদুনে বসবাস করছেন। আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত পাল।
এরপর উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে প্রতিবেদন দুটির উপর আলোচনা করেন সংগঠনের বিভিন্ন সদস্য। কিছু পরিবর্তনও পরিবর্ধন সাপেক্ষে রিপোর্ট দুটি গৃহীত হয়। সংগঠনের সংবিধান নিয়ে আলোচনা পর কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত রূপ দিয়ে গ্রহণ করা হয়।
সব শেষ কর্মসূচি হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা হলেন ডাঃ কুমারকান্তি দাস। উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছ প্রশান্ত বসু (কাছাড় ), কৃষ্ণ চৌধুরী (করিমগঞ্জ) ও ড. দেবজিৎ দেব (হাইলাকান্দি)। নবগঠিত কমিটির পদাধিকারীরা হলেন সভাপতি ড. মনোজ কুমার পাল, কার্যকরী সভাপতি সুদর্শন ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি জয় বরদিয়া (কাছাড়)
অরুন চৌধুরী (করিমগঞ্জ), মাধবী শর্মা (হাইলাকান্দি), সাধারণ সম্পাদক মহীতোষ পাল (আশু), সহ-সম্পাদক অমল কুমার দাস (কাছাড়), সঞ্জীব দে (হাইলাকান্দি), কোষাধ্যক্ষ অনুপ দত্ত, প্রচার সচিব
সুজয় নাথ (কাছাড়), অরুণাভ দাস গুপ্ত (হাইলাকান্দি)।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যবাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে নিখিল পাল, মধুমিতা নাগ, সিক্তা পাল, নন্দদুলাল সাহা, রাজ পাল, সুশীল পাল, কবিতা দাস, শিপ্রা শর্মা মোহন্ত, সাগর কৈরী সহ আরও কয়েকজন সদস্য করিমগঞ্জ জেলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হবেন।
তিন জেলা কমিটি ও জেলা মহিলা শাখা গুলির সভাপতি ও সম্পাদকগণ পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনকে বরাক উপত্যকার গ্রাম-গ্রামান্তর ও শহরের প্রতিটি মহল্লায় প্রসারিত করার শপথ নিয়ে সাধারণ সভার কাজ সমাপ্ত হয়।