তিন’শ বছর ধরে চলে আসছে বড়বাড়ি পালপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা
২৩ অক্টোবর : প্রায় তিন’শ বছর ধরে চলছে বৰ্দ্ধনপাড়া বড়বাড়ি পালপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা।ঢাকার পাশেই ইছামতী নদীর কোল ঘেঁষে নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্দ্ধনপাড়া গ্রাম। ইতিহাসসমৃদ্ধ এ গ্রাম একসময় মৃৎশিল্পের ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থস্থান ছিল। এ গ্রামে ইতিহাসের কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বৰ্দ্ধনপাড়া বড়বাড়ি পালপাড়া সর্বজনীন দুর্গামন্দির। প্রতিবছর দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী থেকে এ মন্দিরে দেশি-বিদেশি ভক্তদের ঢল নামে।
স্থানীয়দের জানা যায়, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে এ অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রায় তিন ‘শ বছর আগে এখানে তাঁদের বসতি গড়ে ওঠে। তাঁদের মূল পেশা ছিল মৃৎশিল্প। তাই এ গ্রামের নামকরণ হয় বৰ্দ্ধনপাড়া পালপাড়া গ্রাম। গয়না নৌকাযোগে পালদের তৈরি করা মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হতো। তখন ইছামতী নদীর বর্দ্ধনপাড়া ঘাটে ভিড়ত সারি সারি নৌকা। সেই সময়ে স্থানীয় শরৎ সাধু কুন্ডু ও গোবিন্দ পাল পূজার্চনা করতে পালপাড়া বড়বাড়িতে নির্মাণ করেন একটি মন্দির। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ও স্মৃতি ধরে রাখতেই পরবর্তী প্রজন্ম এ মন্দিরটিকে পালপাড়া বড়বাড়ি সর্বজনীন দুর্গামন্দির হিসেবে গড়ে
তোলে।
মন্দিরের ইতিহাস জানিয়ে বর্দ্ধনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৯১ বছর বয়সী কানাই পাল বলেন, এ দুর্গামন্দিরের বয়স প্রায় ৩০৭ বছর। বাংলা ১১২৫ সালে তাঁদের পূর্বপুরুষেরা এটা নির্মাণ করেন। ওই সময়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দল বেঁধে এ মন্দিরে পূজা করতে আসতেন। ঐতিহাসিক এ মন্দিরে প্রতিবছর হাজার হাজার পূজারি এসে পূজার্চনা করে থাকেন। সূত্র : প্রথম আলো।