১২ দিন ধরে ধুবড়িতে আটকে রয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি জাহাজ, বিপাকে কর্মীরা
১২ নভেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকারের অসতর্কতার কারণে ১২ দিন ধরে ধুবড়িতে আটকে রয়েছে বাংলাদেশের পাঁচ–পাঁচটি জাহাজ। জাহাজগুলিতে অন্তত ২০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন। ব্রহ্মপুত্রের জল কমে যাওয়ায় জাহাজগুলি এখন দেশে ফিরতে পারছে না। ফলে বিপুল আর্থিক সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে জাহাজগুলির মালিক সংস্থাকে।
তাঁদের অভিযোগ, ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ তাঁদের আগাম সতর্কবার্তা না দেওয়াতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের জল কবে বাড়বে, কবে তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বরং ধুবড়ি জেটিতে জাহাজগুলি নোঙর করে রাখায় প্রতিদিন তাঁদের গুনতে হচ্ছে ভাড়া। পণ্যবাহী জাহাজগুলির আয় কিছুই না হলেও খরচ বেড়েই চলেছে। অসম থেকে পাথর ও বোল্ডার নিয়ে যেতে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ৫টি জাহাজ। ৩১ অক্টোবর জাহাজগুলি ধুবড়িতে নোঙর করে। নিয়ম অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ থেকে তাঁরা অনুমতি নিয়েই অসমে প্রবেশ করেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রে জল কম থাকা নিয়ে তাঁদের বিন্দুমাত্র সতর্ক তাঁরা করেননি বলে অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এক্ষেত্রে বিদেশি জলযানকে সতর্ক করাটাই দস্তুর। তাই আগাম আভাস না পেয়ে ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্রের কম জলে আটকে রয়েছে জাহাজগুলি। প্রতিটি জাহাজের ৩০০ থেকে ৪০০ মেট্রিক টন পাথর বহনের ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন তাঁদের প্রতিদিন জাহাজ পিছু দেড় হাজার টাকা করে জেটির ভাড়া দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাহাজের কর্মীরাও আটকে পড়েছেন। তাঁরা কেউ আন্তর্জাতিক নিয়মের কারণে ধুবড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতেও পারছেন না। জাহাজের কর্মী নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তাঁদের দুর্দশার কথা। কবে এই দুর্দশা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তাও নেই। আর এটা হয়েছে কেন্দ্রীয় নৌপথ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে, এমনটাই অভিযোগ।