করিমগঞ্জের জাতীয় সড়কে ই-রিকশা চলাচলে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞা
বরাক তরঙ্গ, ৮ জানুয়ারি : করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে এক আদেশ যোগে করিমগঞ্জ জেলার জাতীয় সড়কে ই রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি, জেলার রাজ্য হাইওয়ে ও মুখ্য সড়কে রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ই-রিকশা যাত্রী নিয়ে চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আদেশে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে যে বহু সংখ্যক ই রিক্সার গ্রামীন সড়ক থেকে জাতীয় সড়ক নম্বর ৮ ও জাতীয় সড়ক নম্বর ৩৭ (নতুন) এর সংযোগস্থল পর্যন্ত যাত্রীদের বহন করার লাইসেন্স রয়েছে, কিন্তু তারা পারমিটের ওই শর্তকে লঙ্ঘন করে জাতীয় সড়ক ও রাজ্যিক হাইওয়েতে ই-রিকশা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য হাইওয়ে হচ্ছে ভারী, মধ্যম ও ছোট যান বাধাহীন ভাবে চলাচল করার জন্য, কিন্তু ওই সড়কে ই-রিকশা তাদের গন্তব্যে পৌঁছার জন্য অত্যাধিক গতিতে চলাচল করছে। তাই জেলার জাতীয় সড়ক ও রাজ্যিক হাইওয়েতে ই-রিকশা চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং ই-রিকশার যাত্রী ও চালকরা গম্ভীর ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
এছাড়া শীতের মরসুমে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যাওয়ার দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের জীবন রক্ষায় ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে জারি করা এই আদেশের অনুসারে কোন ই-রিকশা জাতীয় সড়কে চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি জেলার রাজ্য হাইওয়েগুলিতে রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত যাত্রী বহন করে ই রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে কোন ই-রিকশা অধিক ওজন নিয়ে অথবা ই-রিকশা মূল কাঠামো থেকে আকার বৃদ্ধি করে চালানো যাবে না। যাত্রীদের ওঠা নামার ব্যবস্থা ই রিকশার শুধু বাম দিকে থাকতে হবে। ই রিক্সার মধ্যে পিছনের দিক দেখার জন্য আয়না এবং দুই দিকে ইন্ডিকেটর লাইট থাকতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে যে এই নিষেধাজ্ঞা গুলি অমান্য করার ফলে কোন ধরনের দুর্ঘটনা যদি সংঘটিত হয় এবং জনগণের জীবন সংকটে আসে তবে ওই ঘটনার জন্য মোকদ্দমা দায়ের করা হবে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে নিকটবর্তী হাসপাতালে ই-রিকশা দিয়ে রোগী বহন করার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকছে।
জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ও পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আদেশে কেহ যদি সন্তপ্ত হন তবে এর সংশোধনীর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে সমগ্র জেলায় বলবৎ হয়েছে এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকছে।
প্রতিবেদন : জনসংযোগ, করিমগঞ্জ।