বৈঠাখাল মেদলিছড়া এলপি স্কুল শিক্ষকহীন, অভিযোগের পর টনক নড়ে
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৫ মে : পাথারকান্দির শিক্ষা খণ্ডের অধীন বৈঠাখাল মেদলিছড়া এলপি স্কুল শিক্ষকহীন ছিল। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার মতে ১ এপ্রিল থেকে স্কুলে ক্লাস শুরু হয়। সেমতে শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে স্কুলে আসা বৈঠাখাল মেদলিছড়ার অতি সাধারণ পরিবারের ষাটজন কচিকাঁচা খেলাধূলা করে ঘরে ফিরতে হয়। কচিকাঁচা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে অবশেষে সরব হলেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ মতে, বৈঠাখাল চা বাগানের চার যুগ পুরানো মেদলিছড়া এলপি স্কুলটি শিক্ষা বিভাগের চরম খামখেয়ালিপনার জন্য শিক্ষকহীনতায় ধুঁকছে। এতে উক্ত স্কুলের প্রায় ষাটজন কচিকাঁচা পড়ুয়াদের সোনালি ভবিষ্যত অন্ধকারে ধাবিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। তাঁরা প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপ্রসাদ দুষাদ অবসর হওয়ার পর একমাত্র সহকারী শিক্ষিকা এই স্কুলের হাল ধরেন। কিন্তু শিক্ষিকা দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে আসছেন না। এতে প্রতিদিন পড়ুয়ারা স্কুলে এসে কিছুক্ষন খেলাধুলা করে ফের বাড়ি ফিরছে। এ মর্মে শনিবার অভিভাবক সহ পড়ুয়ারা স্কুলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের ডেকে তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। ইতিমধ্যে এই স্কুলের বেশক’জন পড়ুয়া অন্য স্কুলে ভর্তি হবারও খবর পাওয়া গেছে। প্রায় তিন মাস ধরে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, অথচ এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিভাগীয় পক্ষে।
এ অভিযোগের পর প্রতিবদক ফোনযোগে স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা প্রতিমা বারইকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, গত এপ্রিল মাসের চৌদ্দ তারিখ থেকে তিনি ছয় মাসের জন্য মাতৃকালীন ছুটিতে রয়েছেন। বিষয়টি লিখিত ভাবে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বিষয়টি বিভাগীয় আধিকারিকের নজরে থাকা সত্বেও কোন শিক্ষকের ব্যবস্থা করেননি।
এদিকে সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে পাথারকান্দির বিইইও বিশ্বজিৎ দে-র কাছে প্রতিবেদক জানতে তিনি জানান, বিষয়টি এতদিন তাঁকে কেও জানায়নি। আজ জানতে পেরে তিনি স্কুলের জন্য একজন শিক্ষকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।