১৫ আগস্ট ধেমাজি বিস্ফোরণে অভিযুক্তরা খালাস রায়দান হাইকোর্টের
বরাক তরঙ্গ, ২৪ আগস্ট : ধেমাজি বোমা বিস্ফোরণের সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের খালাস দিয়েছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন আবেদনকারী। গত ২৪ জুলাইয়ে হাইকোর্টে মামলার চূড়ান্ত শুনানি ছিল।
২০০৪ সালে ১৫ আগস্ট একটি ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। স্বাধীনতা দিবসে বোমা হামলা চালায় আলফা। বিস্ফোরণে ১৮ শিশু নিহত হয়।
মোট ছয় আসামিকে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। আদালত দীপাঞ্জলি বুড়াগোঁহাই, মুহি সন্দিকৈ, যতীন দুয়ারী, লীলা গগৈকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত প্রশান্ত ভূঁইয়া ও হেমেন গগৈকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। গুয়াহাটি হাইকোর্ট আজ কয়জন অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে।
১৫ আগস্ট ধেমাজি কলেজ মাঠে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া শিশু ও বাবা-মা সহ ১৮জন বিস্ফোরণে নিহত হন। সেটা সত্য।
নিম্ন আদালতে যারা দোষী সাব্যস্ত এবং কারাগারে দণ্ডিত ব্যক্তিরা বিস্ফোরণে জড়িত ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি হাইকোর্ট ধেমাজি সাত্রা বিচারকের রায় প্রত্যাহার করে এবং ধেমাজি বিস্ফোরণে জড়িত থাকার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত চারজনকে এবং অন্য দু’জনকে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল তা খালাস দিয়েছে।
অনুপ চেতিয়াও মিডিয়াকে বলেছেন: ‘তদন্তকারীরা যথাযথ প্রমাণ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সকলেই খালাস পেয়েছেন’
“আমরা ধেমাজি বোমা হামলার জন্য দুঃখিত,” অনুপ চেতিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন। এটি একটি জঘন্য কাজ ছিল। আমি তখন বাংলাদেশের কারাগারে ছিলাম। তারপরও আমি বলেছিলাম যে এটা খুবই ঘৃণ্য কাজ। আমরা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান করি। তদন্তকারীরা সঠিক প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।