শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের আর্বিভাব তিথি পালন

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ নভেম্বর : প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও বৃহস্পতিবার শিলচর সোনাই রোড স্থিত শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে যোগাচার্য্য ও কর্মযোগী স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬ তম আর্বিভাব তিথি  সনাতন ধর্মীয় কার্যসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।এদিন জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬ তম আর্বিভাব তিথি উপলক্ষে শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে ভোরে মঙ্গলারতি, শ্রীশ্রী গীতা পাঠ, শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠ, যোগাচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের আধ্যাত্মিক জীবনীপাঠ, দুপুরে উপস্থিত প্রায় দুইশো জন ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ও পরবর্তীতে সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থনা।

বক্তব্যে‌ উপস্থিত শ্রীমৎ রামেশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন,আজ এক বিশেষ দিন শঙ্কর মঠ ও মিশনের পাবন পরম্পরায় আমাদের চতুর্থ আচার্য্যের চরণ,পরম পূজ্য পাদ, সদগুরু দেব শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের শুভ প্রাকট্য দিবস,তিনি শংকর মঠ ও মিশনকে সংসারের সামনে মানব কল্যাণ এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় আমাদের সামনে আমাদের কল্যাণের জন্য নিয়ে আসেন। পুরো জীবন গীতার বাণী দিয়ে সবার জীবন পবিত্র করা এবং সবার জীবনে ভালো চরিত্র স্থাপন করে নানা রকমের কল্যাণের কার্যক্রম করা এই হলো উনার জীবন, স্বাভাবিক রূপে সবাই প্রারব্ধ এবং কর্মের জন্য জন্ম গ্রহণ করে কিন্তু অনেক দুর্লভ এইসব মহাপুরুষ যারা কর্মের বন্ধনের দ্বারা নয় ভগবত সংকল্পের কারণে জগতে জীবের হিতের কারণে তাঁরা জন্মগ্রহণ করেন মানব দেহ ধরে। ভগবান বলেন যখন ধর্মের হানি হয় তিনি স্বয়ং আসেন এবং তিনি নিজের অংশকে পাঠান, আমাদের পূজ্যপাদ সৎ গুরুদেব ভগবান স্বয়ং ভগবানস্বরূপ হয়েছেন যিনি ভগবত প্রাপ্ত মহাপুরুষ। তাঁর আসল শিক্ষা মানবজাতিকে হলো গীতা পড়ো গীতাকে জীবনে ধারণ কর তাহলে আমাদের অবশ্যই কল্যাণ হবে, আজীবন তিনি এটাকেই প্রচার করে গিয়েছিলেন।

এদিন সহযোগীতায় ছিলেন রাকেশ মিত্র,রাজু মিত্র, বিউটি দে, বরুন দে, দিলীপ দে, সুজিত মিত্র, দিলীপ দে, রেনুবালা চৌধুরী, সুমন মিত্র সহ অন্যান্যরা।

Author

Spread the News