বরাক তরঙ্গ, ২৭ নভেম্বর : অসম সরকার চালু করা ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ প্রকল্পের আওতায় এখন রাজ্যের বাইরে অস্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে মৃতদেহ কোনও অর্থনৈতিক বোঝা ছাড়াই পরিবারে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। অসম পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়, যার মাধ্যমে মৃতদেহ সসম্মানে এবং নির্ধারিত সময়ে পরিবারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই হাইলাকান্দি জেলার দুই পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। ২১ নভেম্বর নিতাইনগরের ১৯ বছরের যুবক কবির আহমেদ লস্কর অন্ধ্রপ্রদেশের তুনি রেলওয়ে স্টেশনে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার পর তাঁর মৃতদেহ অসম পুলিশ হাইলাকান্দিতে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে সশ্রদ্ধভাবে হস্তান্তর করে। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর কাটলিছড়ার শিব রায়ের মৃতদেহও একই প্রকল্পের আওতায় বেঙ্গালুরু থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ সিনহা জানিয়েছেন, রাজ্যের বাইরে অসমের কোনও বাসিন্দার আকস্মিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যদের যেন দ্রুত স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর স্থানীয় প্রশাসন, চিকিৎসা কর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সমন্বয়ে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার পুরো প্রক্রিয়াটি সুসম্পন্ন করে পুলিশ।
স্থানীয় জনগণের মতে, এই প্রকল্প শোকাহত পরিবারগুলোর আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগত চাপ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ প্রকল্পের মাধ্যমে দূর রাজ্যে মৃত্যু হওয়া প্রিয়জনকে মর্যাদার সঙ্গে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য অসম সরকার একটি মানবিক ও কার্যকর সমাধান প্রদান করেছে।


