বরাক সহ উপনদীগুলোর জল কমলেও শহরের প্লাবিত হচ্ছে বহু এলাকা

রাজীব মজুমদার, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ মে : বরাক সহ উপনদীগুলোর জল কমলেও নয়া করে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে শিলচর শহরে। গত ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের উল্লেখ থাকলেও বরাক উপত্যকা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম ও মণিপুরে বৃষ্টি কম হওয়ায় রাত ১টার পর স্থিতাবস্থায় চলে যায় বরাকের জলস্তর। রাত একটায় শিলচর অন্নপূর্ণা ঘাটে বরাকের জলস্তর ছিল ২১.৫৪ মিটার। সকাল সাতটা পর্যন্ত একি অবস্থানে থাকে বরাক নদীর জলস্ফীতি। স্বস্তির খবর হচ্ছে  সকাল আটটা থেকে ঘন্টায় ১ সেন্টিমিটার করে কমতে শুরু করে বরাকের জল। সকাল দশটায় বরাকের জলস্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১.৫১ সেন্টিমিটারে। তবে বন্যার জলে শিলচর শহরে নতুন করে কিছু প্লাবিত হয়।

জল প্রবেশ করেছে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে। রেলওয়ে রিক্রিয়েশন ক্লাব, সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অফিস সহ বেশ কয়েকটি স্টাফ কোয়ার্টারে জল প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাটাতেই শহরের জানিগঞ্জ এলাকায় জল প্রবেশ করে। জলের তলায় সড়কসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

বরাক সহ উপনদীগুলোর জল কমলেও শহরের প্লাবিত হচ্ছে বহু এলাকা

এদিকে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ে ইস্ট জয়ন্তিয়া হিল জেলা প্রশাসন একটি নির্দেশনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ভূমিধসের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় মেঘালয়ের প্রশাসন সড়কটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল বরাক। ডিম হাসাও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায়  বন্ধ রয়েছে শিলচর হাফলং সড়ক, বিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। একমাত্র আকাশ পথ বাদ দিলে বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বরাক উপত্যকা সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতক্ষন লাগবে উত্তর খোঁজছেন জনগণ।

Author

Spread the News