মহবুবুলের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

বরাক তরঙ্গ, ২৩ ফেব্রুয়ারি : ইউএসটিএম চ্যান্সেলর মহবুবুল হকের গ্রেফতারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ফের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইউএসটিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা মেহবুবুল হকের বিরুদ্ধে মহা বিস্ফোরণ ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহবুবুল হক শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করেন। মহবুবুল হক অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদের পাস করিয়ে দেন। পাসের জন্য এক ছাত্রের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে মহবুবুল হক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মহবুবুল হকের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছি। এরমধ্যে মেডিক্যাল ভর্তি বিষয় আছে। কিছু কোচিং সেন্টারে সাংঘাতিক ভালো ফলাফল পেয়েছে। তারা তাদের জেলায় নেই। এই ঘটনা একটি বড় জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আনবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে”।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মহবুবুল হক একজন প্রতারক। ইউএসটিএম একটি জালিয়াতি প্রতিষ্ঠান। ২৪৩ জন শিক্ষার্থীকে প্রলোভনের মাধ্যমে ভর্তি করা হয়েছিল। ডিজিপি মহবুবুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত তদারকি করবেন।
এ দিকে, শনিবার মহবুবুল হকের গ্রেফতারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে অসমে একটি চক্র পর্যবেক্ষণ করছি। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিবিএসই পরীক্ষার আগে, শিক্ষার্থীদের তাদের কেন্দ্র পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। গোয়ালপাড়া, নগাঁও ও কামরূপ জেলার ২৪৭ জন পড়ুয়াকে সিবিএসই পরীক্ষায় ৩০টির বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রদের কেন্দ্র পাথরকান্দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বৃত্তটি সামনে আসে যখন শিক্ষার্থীরা সুবিধা না পেয়ে গণ্ডগোল করে। শুধু সিবিএসই নয়, মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষাও চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম যে এই লোকটি একটি বড় প্রতারক, তার ইতিহাস জালিয়াতির। তিনি কিছু বুদ্ধিজীবীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্র চালাচ্ছিলেন, এখন সবকিছু প্রকাশ্যে এসেছে। অচিরেই সব শেষ হয়ে যাবে। অসমে শিক্ষা যাতে বাজারে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা আমি চালিয়ে যাব।