পুনরায় আন্ত:রাজ্য সীমান্তে মিজো আগ্রাসন, উদ্বেগ সুজামের

এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ৭ মার্চ : ফের অসমের জমিতে মিজো আগ্রাসন ! এবারও হাইলাকান্দির গল্লাছড়া সীমান্তে আগ্রাসনের থাবা বাড়িয়েছে মিজোরাম। মিজো নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় মিজোরা আগ্রাসন শুরু করেছে। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে গভীর উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করেছেন কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মারফতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।

সংবাদ মাধ্যমে বিধায়ক সুজাম উদ্বেগ ব্যক্ত করে বলেন, কাটলিছড়া বিধানসভা আসন এলাকার চতুর্দিকে মিজোরাম সীমান্ত। কচুরতল, গল্লাছড়া সীমান্তে মিজো আগ্রাসন হয়েছিল বেশ আগে। বেশ কয়েকটি অসমের মানুষের ঘর জ্বালিয়ে জবর দখল করেছিল মিজোরা। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রচেষ্টায় বহু দিন সীমান্ত শান্ত ছিল। কিন্তু উভয় রাজ্যের মধ্যে স্টেটাসকো চলা অবস্থার মধ্যেও মিজোরা সীমান্তে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহ খানেক থেকে কচুরতল, গল্লাছড়া সীমান্তে নতুন ভাবে ঘর তৈরি করে জবর দখল শুরু করেছে। এমনকি গল্লাছড়া বিওপির মিজোরা অসমের জমি জবর দখল শুরু করেছে। অথচ গল্লাছড়া বিওপির জওয়ানরা ঠোঁটো জগন্নাথের ভূমিকা নিয়ে বসে রয়েছে। মিজোদের জবর দখল ঠেকাতে ন্যূনতম চেষ্টাও করছে না বলে বিধায়কের অভিযোগ।

পুনরায় আন্ত:রাজ্য সীমান্তে মিজো আগ্রাসন, উদ্বেগ সুজামের

বিধায়ক সুজাম মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ”জাতি, মাটি, ভেটি’ল”র সুরক্ষার কথা বলেন। কিন্তু অসমের মাটি মিজোরা জবর দখল করলেও তা ঠেকানোর কথা ভাবেন না। পরক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের প্রশংসাও করে বলেন,উন্নয়নের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষায়ও মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সুজাম উদ্দিন আরও বলেন,মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগে মিজোরা সীমান্তের অন্তত দশ হাজার হেক্টর অসমের জমি জবর দখল করে নিয়েছে। এখনও জবর দখল অব্যাহত রেখেছে। বছর তিন চারেক আগে কাছাড়ের সীমান্তে অসমের পাঁচ জন পুলিশের জওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষে জীবন দিয়েছেন। তাঁদের জীবনদানের শোকের রেশ মিলিয়ে যায় নি এখনও। এরই মধ্যে ফের মিজোরা হাইলাকান্দি সীমান্তে ঘর বাড়ি তৈরি করে জবর দখল শুরু করেছে।
  তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন,যেনতেন ভাবে অসমের জমি রক্ষা করা দরকার।মিজোরাম  সীমান্ত নিয়ে আইনকানুন কিছু মানে না। আমাদের রাজ্যের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইনকানুন মেনে চলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অনুরুধ করে বলেন,জবরদখল করা জমিতে মিজোদের ঘর ভেঙে দিতে হবে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে হবে। সীমান্তে রাস্তা হচ্ছে,উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হচ্ছে। কিন্তু মিজো আগ্রাসন বন্ধ হয় নি। তিনি এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।

Author

Spread the News