ছয় মাস পর কৃপার হাত দিয়ে ফের চালু মেদলি চা বাগানের ফ্যাক্টরি
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মে : এবার বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের তৎপরতায় ছয় মাস পর কৃপানাথ মালার হাত দিয়ে ফের চালু হল পাথারকান্দির বিধানসভার মেদলি চা বাগানের ফ্যাক্টরি। এতে খুশীর জোয়ার বইছে শ্রমিক মহলে। প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ইউনিয়নের সভাপতি তথা সাংসদ কৃপানথ মালার উপস্থিতিতে বেসরকারি মেদলি চা বাগানের বন্ধ থাকা ফ্যাক্টরির কাজ শুরু হল।
জানা গেছে, লোকশানে চলা মেদলি চা বাগান কর্তৃপক্ষ গত দুর্গাপূজার সময়ে শ্রমিকদের বকেয়া বোনাস প্রদান না করে রাতের অন্ধকারে বাগান ছেড়ে কেটে পড়েছিল। এতে চরম বিপাকে পড়েন শ্রমিক সহ বাগাবের কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই হাল ধরে ছিলেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল সহ বাগান পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। এতে কিছুটা চাপে পড়ে বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানে চা পাতা সংগ্রহের কাজ শুরু করে পাতা অন্যত্র বিক্রি করে বাগান চালিয়ে আস ছিলেন গত ছয় মাস থেকে। কিন্তু মোটা অঙ্কের বিদ্যুত বিল আটকে থাকায় বন্ধ ছিল ফ্যাক্টরি। এনিয়ে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতেই মালিক পক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কৃপানাথ মালা ও সম্পাদক রাজদীপ গোয়ালা।
এতে সৃষ্টি সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসে। জানা গেছে মেদলি চা বাগানটি বর্তমানে বাসন্তীপুর টি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে পরিচালিত হচ্ছে। চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে রয়েছেন হরি লোহিয়া। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তথা বাগানটিকে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উক্ত রুগন চা বাগানের ফ্যক্টরি পুনরায় সচল করার ব্যবস্থা করেন বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। এতে মালিক পক্ষ রাজি হলে ইউনিয়নের সভাপতি কৃপানাথ মালার উপস্থিতিতে মঙ্গলবার পূজার্চ্চনা করে পুনরায় চা বাগানের ফ্যক্টরি কাজ চালু করা হয়। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংসদ কৃপানাথ মালা সহ বাগানের ডাইরেক্টর বি আগরয়াল ম্যানেজার ননী বসু সহ স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে অন্তু বাল্মিকদাস যুব নেতা সুদীপ গোয়ালা শচীন সাহু এবং বাগান পঞ্চায়েত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শ্রমিকদের সঙ্গে পৃথক এক সভায় মিলিত হয়ে মত বিনিময় করেন ইউনিয়নের সভাপতি কৃপানাথ মালা। সভায় তিনি তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনে এগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন। সাংসদ কৃপানাথের কথায় শ্রমিক পক্ষ ও মালিক পক্ষের মধ্যে মতানক্য থাকলে কোন প্রতিষ্ঠানই সচারুরুপে পরিচালনা সম্ভব নয়। তাই এ ব্যাপারে তিনি উভয় পক্ষকে সমন্বয়ের মধ্যে বাগান পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন।