জিএসটি বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার, তাঁর মা-বোনের দেহ উদ্ধার

২২ ফেব্রুয়ারি : বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় আবগারি ও জিএসটি বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার, তাঁর মা এবং বোনের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। পুলিশের প্রথামিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই তিনজন। ঘটনাটি কেরলের কোচিতে ঘটেছে। আমলা, মনীশ বিজয়ের পরিচারকরা চার দিনের ছুটিতে ছিলেন। তারপর ফিরলে দুর্গন্ধ পান। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
আমলা মনীশ এবং তাঁর বোন শালিনীকে বাড়ির পৃথক দু’টি ঘরে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের মা শকুন্তলা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশ বাড়ির মধ্যে গিয়ে দেখতে পেয়েছে যে, বৃদ্ধা মহিলার দেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো, বিছানার উপর ফুল রয়েছে। এর ফলে সন্দেহ আরও তীব্র হচ্ছে যে, মা শকুন্তলা দেবী হয়তো প্রথমে মারা গিয়েছেন অথবা প্রথমে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরে ভাই-বোন আত্মহত্যা করেছেন।
কোচির পুলিশ কমিশনার পুট্টা বিমলাদিত্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মৃতদেহগুলি কয়েক দিনের পুরনো এবং সেগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “ফরেনসিক পরীক্ষার পরই বলা সম্ভব যে তাঁরা কখন মারা গিয়েছেন।”
পুলিশ আমলার বাড়ির একটি ঘর থেকে থেকে একটি ডায়েরি পেয়েছে। যেখানে একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে, তাঁদের বিদেশে বসবাসকারী বোনকে ভাই-বোনের মৃত্যুর খবরটা জানানো উচিত।
মৃত আমলার পরিবার মূলত ঝাড়খণ্ডের। তবে কর্মসূত্রে তাঁরা কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কাক্কানাড কাস্টমস কোয়ার্টারে থাকতেন।
দেড় বছর আগে কোচিতে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে মনীশ কোঝিকোড় বিমানবন্দরে কাস্টমস প্রিভেনটিভে কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে থেকে মনীস বিজয় তাঁর মা এবং বোন সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পুলিশের মতে, শালিনী ঝাড়খণ্ডে একটি আইনি মামলা নিয়ে কাজ করছিলেন। যার জন্য মনীশ কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন।

শালিনী ২০০৬ সালের ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন (জেপিএসসি) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন এবং ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে, তাঁর পদমর্যাদা পরে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় এবং তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ২০২৪ সালে, মামলার সিবিআই তদন্তের ফলে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তাঁদের আরেক বোন বিদেশ থেকে আসার পর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হবে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
খবর : আজকাল ডট ইন।