হৃদযন্ত্রে ত্রুটি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ৩৩৪ শিশুর শনাক্তকরণ হবে : এডিসি খালেদা
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ সেপ্টেম্বর : আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগত হৃদযন্ত্রে ত্রুটি ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য বরাক ভিত্তিক এক মেগা শনাক্তকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হবে। শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি হৃদপিন্ডে ক্রুটি ও ১৪ বছর বয়স অবধি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য শনাক্ত করা হবে। শনাক্ত করবেন দেশের সুনামধন্য নারায়না হৃদয়ালয়ের কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। শনাক্ত হওয়া শিশুদের ধাপে ধাপে সম্পূর্ন বিনামূল্যে অসমে অথবা অসমের বাইরে এর চিকিৎসা করা হবে। শনিবার সাংবাদিকদের ডেকে এসবের জানান দেন জেলার অতিরিক্ত আয়ুক্ত (স্বাস্থ্য) ড০ খালেদা সুলতানা আহমেদ। জেলা আয়ুক্তের সভাকক্ষে বরাকের তিন জেলার প্রতিনিধি ও শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের পাশে বসিয়ে এর জানান দেন।
তিনি বলেন, এদিন বরাকের তিন জেলায় মিলিয়ে হৃদরোগী শিশুর সংখ্যা ২৮৪ এবং বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের শিশু ৫০টি। এরমধ্যে কাছাড় জেলায় হৃদরোগীর সংখ্যা ১৬৬, করিমগঞ্জের ৫৭ এবং হাইলাকান্দির ৬১ টি শিশু রয়েছে। বোনম্যরোর সংখ্যা যথাক্রমে ১৫, ১৯ ও ১৬। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ড. খালেদা বলেন, অসম সরকারের উদ্দোগে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজে এ ধরনের শনাক্তকরণ শিবির শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় শিশু স্বাস্থ্য কার্যসুচী (আরবিএসকে)-র অধীনে এধরনের শিশুর চিকিৎসা সব সময়েই হয়ে থাকে। তবুও সরকার এই রোগসমুহের চিকিৎসার জন্য আলাদা উদ্দোগ নিয়েছে। যা থেকে উপকৃত হবেন অনেকেই, কারণ বহু ব্যয়বহুল এইসব রোগের চিকিৎসা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠেনা। তিনি বলেন সংখ্যার দিক থেকে এধরনের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাছাড় জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মণ, শিবিরের (হৃদরোগ) শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নোডাল অফিসার ডাঃ আহমেদ হোসেন চৌধুরী, শিবিরের (বোনম্যারো) শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নোডাল অফিসার ডাঃ বিদ্যুৎ ভু্ষন নাথ, কর্মসূচির মেডিক্যাল কলেজের সংযোজক তথা উপ-অধীক্ষক ডাঃ ভাস্কর দেবনাথ প্রমুখ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলার বিভাগীয় শাখা আধিকারিক তথা সহকারী আয়ুক্ত জুনালি দেবী, করিমগঞ্জ জেলা যুগ্ম জেলা স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ সুমনা নাইডিং, হাইলাকান্দি জেলার বিভাগীয় নোডাল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন খন্দকার, তিন জেলার সংযোজক ইকবাল বাহার লস্কর, মনীষা রায় ঘোষ ও অবনী কলিতা, কাছাড় জেলার কর্মসূচি প্রবন্ধক রাহুল ঘোষ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শিবিরকে সফল করে তুলতে এদিন অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্তের সভাপতিত্বে এক সভায় মিলিত হন তিনি জেলার আধিকারিকরা। শিবিরে রোগীদের অভিভাবক সহ (হৃদরোগীর সঙ্গে মা-বাবা) এবং (বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য গোটা পরিবার)কে গাড়ি ভাড়া নিয়ে আসবেন ব্লক স্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা।