সলগইয়ে হিন্দু কিশোরকে মারপিট, চাপে আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ জানুয়ারি : সম্প্রতি লোয়াইরপোয়া ব্লকের হাতিখিরা জিপির সলগইয়ে এক কিশোরের উপর হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে এ কাণ্ডে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মকর্তারা। এ মর্মে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা বাজারিছড়া থানায় পৌঁছে এমন ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত সহ এতে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করার জোরালো দাবি উত্থাপন করেছিলেন। এদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় আহত কিশোরের পরিবারের পক্ষে। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ গত ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় হাতিখিরা জিপির সলগই দুই নং লাইনের বাসিন্দা ভরত রবিদাসের ১৬ বছরের ছেলে প্রদীপ রবিদাস সলগই বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের দুর্গা মণ্ডপের সম্মুখে বিনা কারণে তার পথ আগলে ধরে তাকে বেধম প্রহার করে স্থানীয় নুর খান নামের এক ব্যক্তি। এতে প্রদীপ গুরুতর আহত হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। এমন ঘটনায় এলাকার বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ অভিযুক্ত নুর খান একজন দাগি আসামী। এমনকি সে সলগইয়ের রাজকুমার গোয়ালা হত্যা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। বর্তমানে সে আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর বাজারিছড়া থানার ওসি নিলভজ্যোতি নাথের নির্দেশে তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ।এতে অভিযুক্ত নুর খান আত্মগোপন করে পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ।অবশেষে পুলিশি চাপে সাত দিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত নুর নিজ থেকে থানায় এসে উপস্থিত হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে স্থানীয় পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ধৃতের ঠাঁই হয় জেল হাজতে। পুলিশের এহেন ভূমিকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা।