হাফলঙে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছাত্রকে খুন, চাঞ্চল্য

বরাক তরঙ্গ, ২৩ এপ্রিল : ডিমা হাসাও জেলার সদর শহর হাফলঙে এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়। বছর সতেরোর এক ছাত্রকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় হাফলং গাদাইরাজি মাইক্রো টাওয়ারের কাছে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে যখন সমগ্র ডিমা হাসাও জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। এবং দিনে রাতে সব সময় পুলিশ পেট্রোলিং করে চলছে ঠিক সে সময় হাফলং শহরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাফলং পুলিশ গাদাইন রাজি মাইক্রো টাওয়ারের কাছ থেকে হাফলং গাদাইন রাজির বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র স্লাইরিং হোজাইর মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্লাইরিং হোজাইর বড় ভাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সোমবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ স্লাইরিংয়ের মোবাইল ফোন করে তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তারপর আর সে ঘরে ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে স্লাইরিংয়ের মোবাইলে পরিবারের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তার মোবাইল স্যুইচ অফ পান। তারপর মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ স্লাইরিংয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় হাফলং গাদাইন রাজি মাইক্রো টাওয়ারের কাছে। তিনি বলেন আজ প্রথমে তার এক বন্ধুর দাদা স্লাইপিংয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকা দেখে তাদের খবর দেন তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত্যু হওয়া যুবকের দাদা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন স্লাইরিংয়ের ডান পা ভাঙ্গা ছিল এবং শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং পুরো শরীরে রক্তের দাগ রয়েছে তিনি বলেন, তার ছোট ভাইকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে স্লাইরিং হোজাইকে যে খুন করা হয়েছে তার দেহে থাকা আঘাতের চিহ্ন দেখেই বোঝা যায়।

এদিকে পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে স্লাইরিং হোজাইকে যে খুন করা হয়েছে তার দেহে থাকা আঘাতের চিহ্ন দেখেই বোঝা যায়। এদিকে গত ১৮ এপ্রিল ডিমা হাসাও জেলার দিয়ুংমুখ থানার অন্তর্গত কইলাডিসা গ্রামের যুবক নাইজন থাওসেন (৩৩) ঘর থেকে বেরিয়ে সন্ধানহীন হয়ে পড়েছিল। অবশেষে পাঁচদিনের মাথায় সোমবার বিকেলে নাইজন থাওসেনের মৃতদেহ দিয়ুংমুখ পুলিশ উদ্ধার করে দিয়ুংমুখ লংরিনালা থেকে।

Author

Spread the News