ধর্ষণের পর ছয় বছরের শিশুকে খুন করে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলল, গণপিটুনিতে মৃত্যু
১ নভেম্বর : ছয় বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অভিযুক্ত ধরা পড়ে গেলেন প্রতিবেশীদের হাতে। ধরা পড়তেই জনতার রোষে প্রাণ গেল অভিযুক্তেরও। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুকন্যার প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক। তাঁর নাম মনা রায়। এদিন বিকেলে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটির। খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। মেয়েটির খোঁজে বেরিয়ে তাঁর ঠাকুমা লক্ষ্য করেন অভিযুক্ত যুবক কলপাড়ে রক্তমাখা হাত ধুচ্ছে। এতে সন্দেহ হওয়ায় মনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবং যুবকের ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানার ওপর রাখা তাঁর নাতনির রক্তমাখা পোশাক। এরপরই তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে পাকড়াও করেন অভিযুক্তকে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। সে জানায়, প্রমাণ লোপাটের জন্য শিশুটির দেহ ফেলে দিয়েছেন পুকুরে। এরপরই শুরু হয় গণপ্রহার। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, পুকুরে নেমে দেহটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের তৎপরতায় জল থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ। উত্তেজিত জনতা গুঁড়িয়ে দেয় অভিযুক্তের ঘরবাড়ি। ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশবাহিনী। পুলিশ শিশুকন্যার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারে নেমেছে বিষাদের ছায়া।