ছেঁড়া বিদ্যুৎ তারের সংস্পর্শে প্রাণ গেলো চার বছরের শিশুর
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ৯ সেপ্টেম্বর : হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটল হাইলাকান্দির ঝালনাছড়া গ্রামে। ছেঁড়া বিদ্যুৎ তারের সংস্পর্শে এসে প্রাণ হারালো চার বছরের এক শিশু। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। জানা যায়, রবিবার রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে ঝালনাছড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হুসেন মজুমদারের বাড়ির রাস্তার উপর পড়ে। সোমবার সাতসকালে আনোয়ারের চার বছরের মেয়ে তানিসা আমিন মজুমদার রাস্তায় বের হলে অজ্ঞাতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুৎ তারে পা দিলে মর্মান্তিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়। সে সময় তানিসার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎতের ছোবলে আহত হয়েছেন মৃত শিশু কন্যার মা।
এদিকে, ঘটনার পর ঝালনাছড়া গ্রান্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এপিডিসিএলএর লালা সাব ডিভিশনের এসডিওকে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার দাবি জানালে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শেষ পর্যন্ত বিকাল ৫টা নাগাদ কাটলিছড়া সার্কল অফিসার মৃগাক্ষী দাসকে সঙ্গে নিয়ে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় বরা এবং এসএমআর করিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাইলাকান্দি এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ময়নাতদন্তের জন্য। জানা গেছে রাতে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত শিশুকন্যাকে পরিবারের হাতে সমঝে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের খামখেয়ালির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয় সারা অসম ছাত্র সংস্থার সভাপতি ফারুক আহমেদ বড়ভূইয়া। তিনি লালা বিদ্যুৎ বিভাগকে দায়ী করে বলেন, এক একটি বিদ্যুৎ পোস্টের দুরত্ব প্রায় ১০০ মিটার। তার প্রায় ঝুলে থাকে। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে এই অসহায় পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। অন্যথায় সারা অসম ছাত্র সংস্থা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে হুঙ্কার দেন।
এদিন গ্রামবাসীদের তরফে এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ এবং সার্কল অফিসারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।