২৫ নভেম্বর : রামরাজ্যের অনুপ্রেরণায় তৈরি হবে ‘বিকশিত ভারত’! অযোধ্যার (Ayodhya) রামমন্দিরে মঙ্গলবার ধ্বজারোহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, ‘একটি বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে হলে, আমাদের সমাজের এই সম্মিলিত শক্তির প্রয়োজন। আমি খুবই খুশি যে রাম মন্দিরের ঐশ্বরিক প্রাঙ্গণ ভারতের সম্মিলিত ক্ষমতার জাগরণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ’
এদিন মার্গশীর্ষ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথি। পুণ্য অভিজিৎ-মুহূর্তে রামরাজ্যের প্রতীকস্বরূপ বিশালাকার ওই পতাকা উত্তোলন করেন মোদি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। ‘ধ্বজারোহণ’ অনুষ্ঠানের পর মোদি বলেন, ‘আজ সারা পৃথিবী রামময়! কত শতাব্দীর ক্ষত আজ পূরণ হল! ৫০০ বছরের যজ্ঞ ও সাধনার ফল এই মন্দির। এত বছর ধরে সেই যজ্ঞাগ্নি নির্বাপিত হয়নি।’
মোদির কথায়, এই ধ্বজা কেবল ধ্বজা নয়, বরং ভারতীয় সভ্যতার ‘নবজাগরণের’ প্রতীক। এই ধ্বজা সংকল্পের, সাফল্যের, সংঘর্ষের, স্বপ্নপূরণের। মোদির কথায়, ‘অযোধ্যা হল সেই পবিত্র ভূমি যেখানে আদর্শ আচরণে রূপান্তরিত হয়। এটি সেই জায়গা যেখান থেকে ভগবান শ্রী রাম তাঁর জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলেন। অযোধ্যা বিশ্বকে দেখিয়েছে, যে কীভাবে একজন ব্যক্তি, সমাজের শক্তি এবং তার মধ্যে অনুপ্রাণিত মূল্যবোধের মাধ্যমে, ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ হয়ে ওঠেন।’

মোদি বলেন, ‘রামমন্দিরে এলে সকলে সপ্তমণ্ডপমে আসবেন। এই মণ্ডপগুলি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব এবং সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করবে। আমাদের রাম ভেদাভেদ নয়, সদ্ভাবে প্রসন্ন হন। বংশকূল নয়, ভক্তিতে প্রসন্ন হন। আজ আমরাও এই ভাবনা নিয়েই এগোচ্ছি।’ আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যেই এই ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মোদি। ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই দেশ গড়া হবে ‘রামরাজ্য’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই।


