মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ নভেম্বর : পাথারকান্দিতে ইডির বড়সড় অভিযানে উদ্ধার হল নগদ অর্থ, গোপন নথি ও ডিজিটাল ডিভাইস। NDPS মামলার সূত্র ধরে এগোচ্ছিল তদন্ত। প্রথমবারের মতো পাথারকান্দিতে এই অভিযানে জল্পনা আর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
পাথারকান্দি থানার অন্তর্গত ডেফলালায় আবু মোহাম্মদ সইফ উদ্দিনের বাড়িতে টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে অভিযান চালায় ইডির একটি বড় দল। পুরো বাড়ি জুড়ে হাই-ইনটেনসিটি রেইড চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সন্দেহভাজন লেনদেনের তালিকা যা তদন্তের পরবর্তী স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা।
এই বিশাল অভিযানের কেন্দ্রে রয়েছে আন্তর্জাতিক মাদক সরবরাহ চক্র, যার বিস্তৃতি মিজোরাম, গুজরাট হয়ে সরাসরি মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত। তদন্তকারীদের ধারণা—এই চক্রের ছায়া আরও বহু রাজ্য ও বিদেশি নেটওয়ার্কে লুকিয়ে রয়েছে।মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA)-এর অধীনে পরিচালিত এই অভিযানে ইডি পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুস্তরীয় তথ্য। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে ইডির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গুজরাটের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিজোরামের কয়েকটি সংস্থার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন নিয়মিতভাবে গুজরাট থেকে পাঠানো হতো pseudo-ephedrine ট্যাবলেট ও caffeine anhydrous এই কাঁচামাল ব্যবহার করা হতো উচ্চমূল্যবান মেথামফেটামিন তৈরিতে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই মাদক মায়ানমার হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করত এই নেটওয়ার্ক দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চালানো অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নগদ বহুসংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজিটাল ডিভাইস ও এনক্রিপটেড ডেটা আর্থিক লেনদেনের রুটম্যাপ ও সম্ভাব্য যোগাযোগের নথি ১৯৮৫ সালের NDPS আইনের অধীনে মিজোরাম পুলিশের ০৫/২০২৫ নম্বর মামলার ভিত্তিতেই ইডি এ তদন্ত শুরু করে। সেই মামলাতেই ছয়জনের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৪.৭২৪ কেজি হেরোইন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি।তদন্তে আরও বিস্তৃত জাল উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।


