স্থানীয়দের চাপে মাদ্রাসা ও মসজিদের একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলল কমিটি

বরাক তরঙ্গ, ১১ আগস্ট : হঠাৎই এক মসজিদের পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় চলল উচ্ছেদ অভিযান। তবে এই উচ্ছেদ প্রশাসন করেনি। তিনসুকিয়া জেলার লোহারি কছারি গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের চাপে মসজিদ কমিটিই উচ্ছেদ করতে বাধ্য হতে হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রামে নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তি একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছিলেন বলে খবর পেয়ে স্থানীয়রা আমিনকে জবাবদিহি করার পাশাপাশি অবিলম্বে মাদ্রাসাটি ধ্বংসের দাবি জানায়। অন্যথায় গ্রামবাসী নিজেরাই পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

অবশেষে স্থানীয়দের চাপে মসজিদ কমিটি বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসাটি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয়। পাশাপাশি মসজিদ কমিটি একটি নালার পাশে অবৈধভাবে নির্মিত মসজিদের একটি পাকা দেয়ালও স্থানীয়দের দাবিতে ভেঙে দেয়। অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই দেয়াল নির্মাণ করেছিল। স্থানীয়দের দাবি, দেয়ালটি মাদ্রাসা চালিয়ে আসা নুরুল আমিনের নিরাপত্তার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।

স্থানীয়দের চাপে মাদ্রাসা ও মসজিদের একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলল কমিটি

একজন স্থানীয় যুবক বলেন, “লোহারি কছারি এলাকায় একটি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল। গত ছয় মাস ধরে মাদ্রাসাটি চলছিল। মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল আমিনের ছত্রছায়ায় মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছিল বলে জানতে পেরে আমরা অভিযান চালাই। ইতিমধ্যেই ইমাম পালিয়ে গেছেন।”

মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে সব ধরনের মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এরপরও নুরুল আমিন নামের ওই ব্যক্তি সম্প্রতি লোহারি কছারি গ্রামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে এলাকার শিশুদের আরবি পড়াচ্ছিলেন। এ কারণেই রবিবার ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নুরুল আমিনকে কৈফিয়ত তলব করে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর রুদ্র মূর্তি দেখে স্থানীয় মসজিদ কমিটি বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসাটি ভাঙার পাশাপাশি অবৈধভাবে নির্মিত একটি দেয়ালও ধ্বংস করে।

এলাকায় সন্দেহজনক লোকজনের অবস্থানের আভাস পেয়ে স্থানীয়রা যখন নিজেরাই অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখনই এই মাদ্রাসার বিষয়টি প্রকাশ পায়। অভিযানের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনসুকিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরাগজ্যোতি বুড়াগোহাঁই সহ একটি বড় নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত ছিল।

Spread the News
error: Content is protected !!