কৃষ্ণপুর জিপিতে শেষ খেলা আমরুল হকের, সমর্থন আদায়
বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুন : সোনাইয়ের উত্তর কৃষ্ণপুরের বেশ কিছু অংশ পুর নিগমে চলে যায়। এরপর ডিলিমিটেশনে দক্ষিণ কৃষ্ণপুর ও উত্তর কৃষ্ণপুর দু’টি জিপিকে একত্রীকরণ করে কৃষ্ণপুর জিপি করা হয়। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সভাপতির কুর্সি নিয়ে দুই জিপির রাজনৈতিক ব্যক্তিদের টানাটানি শুরু হয়। এ নিয়ে গত ২১ মে রাতে আউলিয়া বাজারের এক কংগ্রেস কর্তার বাড়িতে সাত গ্রুপ সদস্য মিলে সভাপতি মনোনীত করার জন্য একমত হয়েছিলেন। চূড়ান্ত সময়ে সাত থেকে তিনজনকে নিজের দিকে নিয়ে এলেন সোনাই আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতির স্বামী আমরুল হক লস্কর। চার নম্বর গ্রুপের সদস্যা পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন লস্করের স্ত্রী তথা প্রাক্তন এপি সভাপতি আছিয়া বেগম লস্কর। নির্বাচনের পর সভাপতির দৌঁড়ে ছিলেন তিনি। শেষ খেলা খেলে নিজের প্রতি সমর্থন জোগাড় করে নেন আমরুল হক।

বুধবার জিপির সভাপতি হিসেবে আছিয়া বেগম লস্করকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান চার গ্রুপ সদস্য এবং আড়ালে রয়েছেন আরও দুইজন। এদিন জিপির চার গ্রুপ সদস্য সাংবাদিক বৈঠকে সভানেত্রী পদে আসিয়া বেগমকে সমর্থনের কথা জানান। তাঁরা জানান, জিপির আরও দু’জন গ্রুপ সদস্য তাদের সঙ্গে রয়েছেন। বিশেষ অসুবিধার কারণে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত না হলে আসিয়া বেগমকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিপির ১ নম্বর গ্রুপ সদস্য আব্দুল কাদির বড়ভুইয়া, ২ নম্বর গ্রুপ সদস্য সাজু আহমেদ লস্কর, ৩ নম্বর গ্রুপ সদস্যা সাকিনা বেগম লস্করের পক্ষে আবুল হক লস্কর ও ৬ নম্বর গ্রুপ সদস্য নরেন সিংহা।

উল্লেখ্য, ২১ মে সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এক নম্বর গ্রুপের সদস্য আব্দুল কাদির বড়ভূঁইয়া, পাঁচ নম্বর গ্রুপের সদস্যা স্মৃতি বর্ধনের পক্ষে সমীর বর্ধন, সাত নম্বর গ্রুপের সদস্যা মরিয়ম বেগম বড়ভূইয়ার পক্ষে সইদুল আহমেদ বড়ভূইয়া, আট নম্বর গ্রুপের সদস্যা সাবানা ইয়াসমিন পক্ষে বুবুল হোসেন লস্কর, নয় নম্বর গ্রুপের সদস্যা সাহানি বেগম বড়ভূইয়ার পক্ষে বিকি বড়ভূইয়া ও দুই নম্বরের সদস্য সাজু আহমেদ লস্কর উপস্থিত না থাকলেও তিনি একজনকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত আর ঠিকেনি শেষ পর্যন্ত।
