পাথারকান্দির বৈঠাখাল জিপিতে সভাপতি মণিরাজ, সহ-সভানেত্রী হলেন নাজমা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুন : রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং পঞ্চায়েত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পাথারকান্দি ব্লকের অন্তর্গত ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ধাপে ধাপে সভাপতি ও সহ সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী পাথারকান্দি ব্লক অফিসে অনুষ্ঠিত হয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সভা, যার মধ্যে অন্যতম ছিল নবগঠিত বৈঠাখাল গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব নির্বাচন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে অনুষ্ঠিত বৈঠাখাল জিপি-র সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি পদে মণিরাজ কুর্মিকে এবং সহ সভানেত্রী পদে নাজমা বেগমকে মনোনীত করা হয়। সভা শেষে দুই নির্বাচিত প্রতিনিধি দাপ্তরিকভাবে সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিক রংবামন তেরং, বিডিও অজয় কার্কীছেত্রী, সহকারী আধিকারিক হিমাংশু দাস সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

শপথ গ্রহণ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে নবনির্বাচিত সভাপতি মনিরাজ কুর্মি জানান, “এই দায়িত্ব আমার জন্য এক বিরাট সম্মান। আমি বৈঠাখাল জিপির প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই রাজ্যের মাননীয় মন্ত্রী তথা বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল মহাশয়কে, যাঁর প্রেরণা ও দলীয় সহকর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া এই জয় সম্ভব হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—দলমত নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠাখালের সার্বিক উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হব।”
এরপর বিভিন্ন স্থানে মনিরাজ কুর্মি ও নাজমা বেগমকে স্থানীয় বাসিন্দারা উষ্ণ সংবর্ধনা ও অভিনন্দন জানান। ফুলের তোড়া, উত্তরীয় ও শুভেচ্ছাবার্তার মধ্য দিয়ে দুই নেত্রী-নেতাকে স্বাগত জানানো হয়।
অন্যদিকে, দিনের প্রথম অধিবেশনে বাজারঘাট-বেতুবাড়ি জিপির ওয়ার্ড সদস্যরা নির্ধারিত সময়মতো উপস্থিত না থাকায় সভাটি সরকারি ভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
একই দিনে লোয়াইরপোয়া ব্লক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দু’টি সরকারি সভাতেও নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে যথাযথভাবে সভাপতি ও সহ সভাপতি মনোনীত করা হয়।
বালিপিপলা জিপি-তে সভানেত্রী পদে সুপ্রীতি মাহিষ্যদাস ও সহ সভানেত্রী পদে মিনতা সিনহা বাঘন জিপি-তে সভানেত্রী পদে ঊষা কালিন্দি ও সহ সভানেত্রী পদে অর্পিতা নাথকে মনোনীত করা হয় এবং তাঁদেরকেও শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

এইভাবে ধাপে ধাপে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পঞ্চায়েত নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। ভবিষ্যতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব যেন গ্রামীণ উন্নয়নের গতিকে আরও তরান্বিত করে—এই প্রত্যাশায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।