২০ নভেম্বর : ফের অশান্ত হয়ে উঠল নেপাল। রাস্তায় নামলেন জেন জেডরা। গত সেপ্টেম্বরেই জেন জেড (Gen-Z) আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নেপাল। আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে দেশের রাজনীতিতে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার উৎখাত হয়েছিল। নতুন সরকার গঠিত হয় সকলের সমর্থনে। কিন্তু মাঝে একটি মাসের ব্যবধান। ফের জেন জেড আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারতের পড়শি দেশ।
নেপালের বারা জেলায় সবরকমের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-র কমিউনিস্ট পার্টি, অনুগামী ও সমর্থকদের সঙ্গে জেন জেডদের সংঘর্ষ বেঁধেছে জায়গায় জায়গায়। রাত ৮টা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি হয়েছে সেখানে। বুধবারই উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। বারার সিমারায় মিছিল বের করে জেন জেডদের একটি গোষ্ঠী। ওই এলাকাতেই মিছিল বের করে ওলির CPN-UML-এর কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিমানবন্দরের কাছের এলাকাও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুভব করে তড়িঘড়ি কার্ফিউ জারি করে সরকার। তবে বৃহস্পতিবারও সেই উত্তেজনা বজায় রয়েছে। যদিও নেপাল পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে নিরাপত্তাবাহিনীকে লাঠিচার্জ করতে দেখা গিয়েছে। আগুন, ধোঁয়াও চোখে পড়ে। টায়ার জ্বালিয়ে ছুড়তে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২৬ সালের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন নেপালে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই নির্বাচন যাতে সম্পন্ন হয়, তার জন্য সকলকে সংযত হতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।


