লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ
১০ জুন : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে আরও সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যাশনাল গার্ডের অতিরিক্ত ২ হাজার সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলির প্যারামাউন্ট এলাকায় নথিবিহীন অভিবাসীদের আটক করতে অভিযান চালায় মার্কিন পুলিশ এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিই (ICE)। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয় এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় এর প্রভাব সবচেয়ে তীব্র হয়ে ওঠে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া ও সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও বিক্ষোভ চলাকালীন বেশি সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনও নির্ভরযোগ্য সংখ্যা প্রকাশ পায়নি।
৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা, যিনি একজন প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক এবং যাঁর মা মেক্সিকো ও বাবা হন্ডুরাস থেকে এসেছেন, বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।
উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ও বহুজাতিক জনগোষ্ঠীর অঙ্গরাজ্য। এখানে বহু সংখ্যক নথিবিহীন অভিবাসী, বিশেষ করে মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে আগত মানুষ বসবাস করেন। তাদের অনেকেই শহরতলির এলাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই অবস্থায় অভিযান ও সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।
