গ্যামন সেতু, সচিবালয়ের কাজ পরিদর্শন মন্ত্রী কৌশিক রায়ের
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মে : অসম সরকারের খাদ্য, জনবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক, খনিজ ও খনিজ সম্পদ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায় মঙ্গলবার এক কর্মব্যস্ত সফরে কাটিগড়া ও শিলচর পরিদর্শনে আসেন। উন্নয়নের গতি ও গভীর প্রশাসনিক দায়বদ্ধতাকে সামনে রেখে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ঘুরে দেখেন এবং জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ে অংশ নেন, যা বর্তমান সরকারের মানবিক ও বিকাশমূলক প্রশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সফরের সূচনা হয় কাটিগড়ার গ্যামন ব্রিজ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে, যা প্রতিদিন হাজার মানুষের যাতায়াতের মেরুদণ্ডস্বরূপ। বর্তমানে সংস্কারাধীন এই ব্রিজের কাজ যেন দ্রুততম ও সুরক্ষিত উপায়ে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে দৃঢ় নির্দেশ দেন মন্ত্রী রায়। তিনি উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে এই প্রকল্পের অগ্রগতি সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২৯ মে থেকে জনগণের জন্য বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে নিখরচায় ফেরি পরিষেবা চালু করা হবে।

পরে তিনি শিলচরের শ্রীকোণায় নির্মীয়মাণ বরাক উপত্যকা সচিবালয় পরিদর্শন করেন। পূর্ত বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কাজ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘বরাক ভ্যালি সচিবালয়’ রাখা হয়েছে, যা বরাকবাসীর আত্মমর্যাদা ও স্বপ্নের প্রতীক হয়ে উঠবে।

এরপর মন্ত্রী শিলচর মেডিক্যাল কলেজের নতুন ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ভবনের পরিকাঠামো ও সেবামূল্য পর্যালোচনা করেন। তিনি ইন্টিগ্রেটেড ডেপুটি কমিশনার অফিস প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কেও অবহিত হন এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
এদিনের সফরের অন্তিম লগ্নে তিনি শিলকুড়ি কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং ভবিষ্যতের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা বলেন। মন্ত্রী কৌশিক রায়ের এই সুচিন্তিত ও আন্তরিক প্রচেষ্টা বরাকবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। উন্নয়ন, প্রশাসনিক কর্ম তৎপরতা জনসেবার প্রতি অবিচল অঙ্গীকারে তাঁর নেতৃত্বে বরাক উপত্যকা নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে চলেছে।

সফর সূচি মতে, মন্ত্রী কৌশিক রায় বুধবার জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ের নবনির্মিত সম্মেলন কক্ষে বন্যা মোকাবিলায় পর্যালোচনা সভায় যোগ দেবেন এবং সেদিনই দুপুরে তার দু’দিনের কাছাড় জেলা সফর শেষে বিমান যোগে গুয়াহাটি ফিরে যাবেন।