গ্যামন সেতু : হিলাড়া ও সুকৃতিপুরে গুয়াহাটি- দুল্লভছড়া এক্সপ্রেসের সাময়িক স্টপেজ
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মে : বরাক উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। গ্যামন ব্রিজ মেরামতের কারণে সৃষ্ট অস্থায়ী অসুবিধা লাঘবে গুয়াহাটি-দুল্লভছড়া-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৪৫ দিনের জন্য হিলাড়া ও সুকৃতিপুর স্টেশনে স্টপেজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র স্থানীয় যাত্রীদের জন্য স্বস্তির নিদর্শন নয়, বরং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াশীল এবং জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনও বটে। ২৮ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫৬১৭ নম্বর গুয়াহাটি-দুল্লভছড়া এক্সপ্রেস হিলাড়া স্টেশনে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে পৌঁছে ৬টা ১২ মিনিটে ছাড়বে। অপরদিকে, ১৫৬১৮ নম্বর দুল্লভছড়া-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ২৯ মে থেকে হিলাড়ায় দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে পৌঁছে ২টা ৩৯ মিনিটে ছাড়বে। সুকৃতিপুর স্টেশনে গুয়াহাটি-দুল্লভছড়া এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে থেমে ৬টা ২৫ মিনিটে যাত্রা পুনরায় শুরু করবে।
গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের ভিড়ে যখন রেল যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই এই সাময়িক স্টপেজগুলি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলে হিলাড়া ও সুকৃতিপুরের যাত্রীদের জন্য শেষ মাইল কানেক্টিভিটি আরও সহজলভ্য হবে এবং বরাক উপত্যকার পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সেগুলি আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হবে।

মালিগাঁও থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এক বিবৃতিতে জানান, এই সিদ্ধান্ত রেল কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং তৃণমূল স্তরের যাত্রীদের প্রয়োজনকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। ৪৫ দিনের এই অস্থায়ী সময়কাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ‘পাইলট পর্যায়’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই সময়ে যাত্রীদের সাড়া, ভিড় এবং চাহিদা পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে এই থামাগুলিকে স্থায়ী করতেও বিবেচনা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে হিলাড়া ও সুকৃতিপুর কেবলমাত্র ছোট স্টেশন হিসেবে নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সংযোগস্থল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি শুধুমাত্র একটি রেলপথের টাইমটেবিলের পরিবর্তন নয়, এটি উন্নয়নের এক বাস্তব নিদর্শন, একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত, কীভাবে পরিকাঠামোগত সিদ্ধান্ত জনচাহিদার ভিত্তিতে বদলাতে পারে। গ্যামন ব্রিজ মেরামতের দরুন তৈরি হওয়া দূরত্ব ঘুচিয়ে এই পদক্ষেপ মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সমতার সেতুবন্ধন তৈরি করছে।