গ্যামন সেতু : দুর্ভোগ, ফেরি সার্ভিস ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবিতে বিধায়কের জরুরি আবেদন

কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে সোজা আমাকে ফোন করুন : বিধায়ক খলিল____

অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ মে : গ্যামন সেতুর সংস্কার কাজের জন্য সাময়িক বন্ধ ঘোষণায় বড় ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন কাছাড় জেলার কটিগড়া-কলাইনের জনসাধারণ। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এনিয়ে বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদারকে কটাক্ষ করছেন, কেন স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে সরজমিনে নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের পক্ষে রবিবার বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে, তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানান, গত ২১ মে, তিনি গুয়াহাটিতে সরকারি কাজে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে ২২ মে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরও তিনি তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কথা একটুকুও ভুলেননি। এই সেতুটি বারাক উপত্যকার অন্যতম প্রধান সংযোগ মাধ্যম হওয়ায় এর অচল অবস্থায় পুরো অঞ্চলে যাতায়াত কার্যত ব্যাহত হয়েছে। তাই ২২ মে গুয়াহাটি পৌঁছেই এই প্রেক্ষাপটে, কটিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার জেলা কমিশনারের কাছে একটি জরুরি আবেদনপত্র পেশ করেছেন। তিনি সেতু বন্ধের সময়কালকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিধায়ক মজুমদার তাঁর আবেদনে উল্লেখ করে দু থেকে তিনটি ফেরি পরিষেবা চালুর দাবি জানান, যাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, কটিগড়া ও কালাইন এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য বদরপুরে যাতায়াত করেন। নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।

নিরাপত্তা ও যাত্রীসুবিধার জন্য তিনি ফেরিঘাটে এসডিআরএফ দল মোতায়েন করে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা ও শৃঙ্খলা রক্ষা, ফেরিঘাটে পর্যাপ্ত আলো স্থাপন যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয় নির্মানের দাবি জানিয়েছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করে নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ এর দাবি জানিয়েছিলেন।

গ্যামন সেতু : দুর্ভোগ, ফেরি সার্ভিস ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবিতে বিধায়কের জরুরি আবেদন

বিধায়ক জানান, গ্যামন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের সংস্কার সময়সীমা নির্ধারণ করলেও বিভাগীয় দপ্তর তা বাড়িয়ে দুই মাস করেছে। তিনি বলেন, “আমরা সেতুর পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বুঝি, কিন্তু এটি যেন কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা হয়, সেই দাবিই আমাদের।” বরাক উপত্যকার অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, বাণিজ্য এবং আন্তঃরাজ্য সংযোগে গ্যামন সেতুর ভূমিকা অপরিসীম। বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার সরকারের কাছে এই পরিস্থিতি নিরসনে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। গুয়াহাটিতে কাজ সেরে এরই মধ্যে নিজ কেন্দ্রে ফিরে আসবেন বলে জানান বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘আমি আসার আগে, কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে সোজা আমাকে ফোন করুন। চেষ্টা করবো আপনাদের সমস্যা সমাধান করার।’

Spread the News
error: Content is protected !!