মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৫ ফেব্রুয়ারি : শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে কম করে একটি ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বুধবার হাইলাকান্দিতে শিক্ষা বিভাগের এক রিভিউ মিটিং এ বলেন, উন্নত মানের পড়াশোনার জন্য আজকাল ডিজিটাল ফর্মের ডিভাইসের মাধ্যমে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান উপলব্ধ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদেরকে পাঠদানের পাশাপাশি এই ডিভাইসগুলি চালিয়ে ছাত্রদের উন্নত মানের শিক্ষার কৌশলের মাধ্যমে ক্লাস নিতে হবে। এ ধরনের ডিভাইসগুলি ব্যবহারের ফলে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও ছাত্রদের পাঠদান ব্যাহত হবেনা বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। শিক্ষামন্ত্রী বিভাগের প্রকল্প ‘বিদ্যাঞ্জলি’-র মারফৎ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংসদ অথবা বিধায়কদের কাছ থেকে স্মার্ট ক্লাসের জন্য বড় ধরনের এলইডি টিভি সেট দান হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বিভাগীয় আধিকারিকদেরকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এই স্মার্ট ক্লাস গুলির মনিটরিং দিশপুর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে করার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি জেলা স্তরেও আরেকটি মনিটরিং এর ব্যবস্থা করারও পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত শিক্ষা বিভাগ থেকে সভায় জানানো হয় যে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিভি সেট সরকার থেকে দেওয়ার ফলে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্মার্ট ক্লাসের উপকরণ টিভি সেট উপলব্ধ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী এই টিভি সেট গুলির ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান পরবর্তীতে এমই এবং এলপি স্কুলেও ডিজিটাল ফরমেটে স্মার্ট ক্লাসরুম করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুল সংযুক্তিকরণ বা এমালগেশন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কম পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি পার্শ্ববর্তী বেশি পড়ুয়া থাকা স্কুলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত তিনি চা-বাগান এলাকায় এমই স্কুল থাকা এলাকায় হাইস্কুলের ড্রপ আউট পড়ুয়া পাওয়া গেলে সেখানে এমই স্কুলকে হাইস্কুলে উন্নীতকরণ করার নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতেও বিভাগীয় আধিকারিকদেরকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ড্রপ আউটের নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে তা প্রতিরোধ করতে পদক্ষেপ নিতেও বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সভায় জানানো হয় যে হাইলাকান্দি জেলার মধ্যে কাটলিছড়া শিক্ষা ব্লকে ড্রপ আউটের মাত্রা বেশি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন শিক্ষক অনুপস্থিতির কারণে ড্রপ আউট হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক নিযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এত বিশাল সংখ্যক প্রার্থীদের আবেদন পত্র যাচাই করতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় ব্যয় হবে। এই প্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদেরকে টিকাভিত্তিক পাঠদানে লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। হাইলাকান্দি জেলায় শিক্ষাদান ক্ষেত্রটি আগের থেকে উন্নত হয়েছে বলে সভায় অভিমত প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিধায়ক জাকির হোসেন লস্করের উপস্থিতিতে সভায় জেলা আয়ুক্ত নিসর্গ হিভারে, ডিডিসি এল্ডাড ফাইরিম পূলিশ সুপার লীনা দোলে এবং শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা অংশ নেন।