কাটিগড়া ও বড়খলার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন মন্ত্রী সিংঘল
বরাক তরঙ্গ, ২০ মে : ইন্দো-বাংলা সীমান্তবর্তী কাটিগড়ায় বন্যার অবলীলা জারী। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশঃ উতরে উঠছে। শুক্রবার কাটিগড়া ও বড়খলার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন কাছাড়ের অভিভাবক মন্ত্রী অশোক সিংঘল। এ দিন কাটিগড়ার ফুলবাড়ি, শান্তিপুর, বরইতলি, জালালপুর, মহাদেবপুর সহ কাটিগড়ার বিভিন্ন বন্যায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। কালাইন-শিলচর সড়ক দিয়ে ফেরার পথে পশ্চিম ও দক্ষিণ বড়খলার বন্যা পীড়িত মানুষের খোঁজ নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী সিংঘল। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি, কাটিগড়া সার্কল ম্যাজিস্ট্রেট মীনারভা দেবী, কাছাড় জেলা বিজেপি সভাপতি বিমলেন্দু রায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমিতাভ রাই সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে কাছাড় জেলায় বন্যার কবলে পড়ে মোট আটজন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, সেই পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে কাটিগড়া। ২ জন লোকের মৃত্যু ঘটেছে। প্রলংকরী বন্যার থাবায় কাটিগড়া ঘেঁষা বড়খলা বিধানসভা কেন্দ্রে চারজন লোকের মৃত্যের হয়েছে। অপর একজনের মৃত্যু ঘটেছে লক্ষীপুর বিধানসভা চক্রের জিরিঘাট অঞ্চলে। ওই ব্যক্তি ভোরা নিয়ে যাবার সময় বিদ্যুতের তারে সংস্পর্শে এলে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গতকাল সোনাইয়ের বারিকনগরে একজনে মৃত্যু হয়।
এ দিকে, জেলার মধ্যে বন্যার দাপটে বিশেষ জেরবার কাছাড়ের কাটিগড়া ও বড়খলা। দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে আনুমানিক আড়াই শতাধিক গ্রামের মানুষ বন্যা পীড়িত। এতে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ বানপ্রস্থ রয়েছেন, অসংখ্য মানুষ গৃহহারা অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে। ক্ষয়ক্ষতির চরম পরিস্থিতির মোকাবিলায় গ্রাম কাছাড়ের এ দু’টি কেন্দ্রের এলাকার মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। সঙ্কট দেখা দেয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ সহ বিশুদ্ধ পানীয় জলের।
এ দিকে, জেলা প্রশাশন ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক দল-সংগঠনে শরণার্থীদের সাহায্যে নেমে পড়লেও হাজার হাজার বন্যাপীড়িত সব লোকের কাছে এখনও পৌছাইনি। ফলে বড়খলা ও কাটিগড়ায় পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্যের দাবিও উঠছে।
প্রতিবেদক : ঝুমি নাথ, বড়খলা।