ইমামদের মাসিক বেতন কমকরেও ১৫ হাজার হওয়া উচিত, মওলানা সাহাবুদ্দিন
কাঁঠালতলিতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন ছবাহী মক্তব ফাইনাল পরীক্ষা
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ ডিসেম্বর : বাজারিছড়ার কাঁঠালতলিতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল ছবাহী মক্তব ফাইনাল পরীক্ষা। জমিয়ত উলামা হিন্দের অধীন দ্বীনি তালিমী বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত এবছরের ছবাহি মক্তব সমুহের ফাইনাল পরীক্ষা। শ্রীভূমি জেলার অন্যান্য স্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী কাঁঠালতলিতেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কাঁঠালতলি মোকামি দ্বীনি তালিমি বোর্ডের অধীন কাঁঠালতলি বাজার জামে মসজিদ পরীক্ষা কেন্দ্রে সকাল দশটায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমের পরীক্ষার সূচনা করা হয়। মোট ছয়টি কক্ষে নির্ধারিত পরীক্ষক দ্বারা এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে মোট ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে এক্সটার্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মওলানা সাহাবুদ্দিন। পরীক্ষা খুব শান্তি পূর্ণ ভাবে বেলা তিনটায় শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তা মক্তব শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষ আলোচনা করা হয়। এতে প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে ইসলামিক প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর অন্যান্য শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি মসজিদের ইমামদের বেতন কম করেও ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক মহল্লাবাসীর প্রতি বিনম্র অনুরোধ জানান মাওলানা সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন-একজন ইমাম চব্বিশ ঘণ্টা মসজিদ কেন্দ্রিক থাকতে হয়। বর্তমান সময়ে জিনিষপত্রের যে হারে মূল্যবৃদ্দি ঘটছে। তাতে সামান্য বেতনে একজন ইমাম তার সংসার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ঠকর। তাই ইমামদের প্রতি ইনসাফ করা দরকার। কম করেও একজন ইমামের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা হওয়া একান্ত বাঞ্চনীয়। উপস্থিত ছিলেন মোকামি জমিয়ত উলামার সভাপতি মওলানা মুফতি আব্দুস সহিদ, দ্বীনি তালিমি বোর্ডের সম্পাদক কারি মুজাম্মিল আলি, সমাজসেবী মওলানা সাহাব উদ্দিন, সহ বিভিন্ন মক্তব মসজিদের মোয়াল্লিমরা।