কারা পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন, জেনে নিন
বরাক তরঙ্গ, ৩০ ডিসেম্বর : পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চাইলে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম, বাল্যবিবাহের সঙ্গে কোনওভাবে সংযোগ থাকা চলবে না। প্রার্থী, তাঁর স্বামী কিংবা স্ত্রী বাল্যবিবাহের সঙ্গে প্রত্যক্ষ, এমনকি পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও ভোটে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়া দুয়ের বেশি সন্তান থাকলেও ভোটের ময়দানে প্রার্থী হওয়া যাবে না। ২০১৮-র ১৯ মার্চের আগে অবধি যাঁদের দুয়ের বেশি সন্তান ছিল তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কিন্তু এই সময় কালের পর দুয়ের বেশি সন্তান হয়েছে যাঁদের, তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
এভাবে ৩৩টি নিয়ম এনেছে সরকার। এরমধ্যে রয়েছে প্রার্থী বাল্যবিবাহ করেছেন এমন ব্যক্তি হওয়া উচিত নয়। পরিবারের কোনও সদস্যকে বাল্যবিবাহে জড়ানো উচিত নয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড সদস্য (সাধারণ জাতি) পদের প্রার্থীদের ম্যাট্রিকুলেশন পাস হতে হবে। ST, SC, OBC প্রার্থীদের দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে হবে। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদের জন্য যে কোনও প্রার্থীকে দশম শ্রেণি পাস হতে হবে। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে প্রার্থীর ম্যাট্রিকুলেশন পাশ হতে হবে। দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। শুধুমাত্র ১৯ মার্চ ২০১৮ এর আগে দুইটির বেশি সন্তানের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। নৈতিক অবক্ষয় সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সরকারি চাকরিতে যাওয়া ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এমনকি দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তিও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের বেতন প্রাপ্ত প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। যে ব্যক্তি ট্যাক্স ফি দেননি তিনিও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এমনকি একজন ব্যক্তি যাকে সমবায় সমিতির ঋণ পরিশোধ করতে হবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।