জমি মাফিয়াদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রাক্তন সিওভিডিও সাহানুর আহমদ
বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : ভূ-মাফিয়াদের আতঙ্কে বর্তমানে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বেরেঙ্গা দ্বিতীয় খণ্ডের বাসিন্দা সাহানুর আহমদ রাজ বড়ভূইয়া সহ তাঁর পরিবার। ১৯৭৮ সালে জমি ক্রয় করেছিলেন সাহানুরের বাবা। সেই ক্রয় করা জমির রেজিস্ট্রার দলিলও রয়েছে তাঁর কাছে। ১৯৭৮ সালে ক্রয় করা জমির খাজনা প্রদান থেকে শুরু করে সরকারি যাবতীয় নিয়ম-নীতি মেনে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জমি উপভোগ করেছেন ভিডিপির প্রাক্তন সিওভিডিও সাহানুর সহ তাঁর পরিবার। কিন্তু এরপর পর থেকে হঠাৎ নুরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া নামের কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে দলিল বানিয়ে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী ও ভূ-মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে জমি জবর দখললের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে বেরেঙ্গা দ্বিতীয় খণ্ডের বাসিন্দা সাহানুর আহমদ রাজ বড়ভূইয়া মামলা করলে আদালতের তরফে বেশ কয়বার তাঁর পক্ষে রায় দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও ভূ-মাফিয়া নূরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া অবৈধভাবে দু’বার জমির অনুমতি বের করে। এবং প্রশাসনের তরফে তা খারিজ করে দেয়। বর্তমানে সিভিল কোর্টে মামলা চললেও নূরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া এখানে থেমে থাকেনি, দিনের পর দিন সে বেরেঙ্গা এলাকার সাহানুর আহমেদ রাজ বড়ভূইয়া সহ তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি অসহায় সাহানূরকে বাজে মন্তব্য করার পাশাপাশি ভূ-মাফিয়া
তাঁকে মেরে জমি জবরদখল করার হুমকি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে কোন উপায় না পেয়ে অসহায় সাহানুর আহমদ রাজ বড়ভূইয়া গোটা বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি সরকারের বসুন্ধরা প্রকল্পের আওতায় নিষ্পত্তি করে তাঁর নায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর সুরে প্রার্থনা করেন। নুরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া সহ তাঁর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন অসহায় সাহানুর সহ প্রতিবেশীরা। বুধবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা আরও জানান, নুরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া আগেও অনেকবার জমি জবরদখলের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আমিনুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া, আলি হুসেন রাজ বড়ভূইয়া, বদরুল ইসলাম রাজ বড়ভূইয়া, বদরুল ইসলাম । তবে এনিয়ে নুরুল ইসলামের কোন মন্তব্য জানা যায়নি।