রতনপুরের বার্ষিক শনিপূজার সম্পন্ন, গুণীজনদের সংবর্ধনা
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ নভেম্বর : অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও তাপাং ব্লকের বর্ষাঙ্গন জিপির অন্তর্গত রতনপুর কলোনীর সার্বজনীন শ্রীশ্রী শনিপূজা কমিটির ব্যবস্থাপনায় শনিবার ১৭ তম বার্ষিক শনিপূজার সমাপ্তি ঘটে ধর্মীয় কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে। পুজোয় গুণীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। সংবর্ধিতরা হলেন কাছাড় জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমিতাভ রায়, প্রাক্তন শিক্ষক সত্যেন্দ্রচন্দ্র দাস, জয়চাঁন্দ দাস, তপন দাস, সমাজসেবী মনোজিৎ সেন, নৃপেন্দ্র দাস, শিক্ষক কমলপ্রসাদ কুর্মি, সমাজকর্মী রূপেশ চন্দ্র দাস, সনজিৎ দেব, বিস্টুলাল দাস, বিষ্ণুপদ দাস, ধোয়ারবন্দ থানার ওসি দিগন্ত কলিতা, বিশিষ্ট দুই সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য ও দিলীপ সিং প্রমুখ। গুণীজন সহ কমিটির সদস্যদের গলায় উত্তরীয় ও হাতে ভগবত গীতা সহ স্মারক তুলে দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এ দিন শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি সজল কান্তি দাস বলেন,হিন্দুধর্মে সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক দেব-দেবীকে উত্সর্গ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল শনিবার। এই দিন কর্মফলের দেবতা সূর্য-পুত্র শনিদেবের খুব প্রিয় একটি দিন। এই দিন ভক্তি ভরে, সঠিক নিয়ম মেনে তাঁর পূজা করা হলে সুফল পাওয়া যায়। অনেকেই শনির দশা বা শনিদেবের রোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বড়ঠাকুরের পুজো করে থাকেন। কারণ একবার তাঁর কুদৃষ্টি পড়লেই আর রক্ষা নেই। হিন্দুশাস্ত্র মতে, শনির অশুভ দৃষ্টি একবার পড়লে জীবন ছাড়খার হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে তাঁর আরাধনা করতে হয়।
বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, তিনি বিগত দিনেও এই অঞ্চলে এসেছেন, কিন্তু এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দূর্বল থাকা সত্ত্বেও এখানের বাসিন্দারা এই ভাবে বিশাল আকারে শণিপূজা করছেন,সেটি একটি খুব উল্লেখযোগ্য বিষয়। সাংবাদিক দিলীপ সিং বলেন, এই সার্বজনীন শনি পূজা কমিটির যিনি সভাপতি সজল কান্তি দাসের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রয়াত সাংবাদিক বিমল কান্তি দাস এই অঞ্চলের একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই তিনি এখানে উপস্থিত হয়ে আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান।এদিন শনি মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মপ্রাণ সববয়সী পরুষ ও মহিলা ভক্তদের ঠাসা ভিড় পরিলক্ষিত করা যায়,চলে শান্তিযজ্ঞ, শনিপূজা,শনিবন্দনা, অন্যদিকে,শনি পূজাকে কেন্দ্র করে কলিকাতা থেকে আগত বরদাময়ী নাট্য কোম্পানির পরিচালনায় গ্ৰামীন যাত্রা পালা জলের মেয়ে যুমনা পরিবেশন করা হয়।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন দুই পুরোহিত বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও মিহির চক্রবর্তী এবং রতনপুর সর্বজনীন শনিপূজা কমিটির সহ-সভাপতি সুখলাল দাস, প্রদীপ দাস, রামলাল দাস,সাধারণ সম্পাদক সুমেন্দ্রচন্দ্র দাস, সহ-সম্পাদক বৈদেন্দ্র দাস, সম্পাদক অসীম দাস, কোষাধ্যক্ষ সুকমল দাস, কার্যকরী সদস্য পরিমল দাস, ভোলানাথ দাস, জগদীশ দাস, সৌরভ দাস, অধীর দাস, বিষ্ণুপদ দাস, ভুবন দাস, নীহাররঞ্জন দাস, অভিজিৎ দাস, রাজন দাস, মিথিন্দ্র দাস, অশ্বিনী দাস সহ ৩৫ জন বৈশিষ্ট্য কমিটির সদস্যরা।