সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনও স্থান নেই : মোদি
২৪ নভেম্বর : মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে ‘মহাজুটি’। উদ্ধব-শরদদের পরাজিত করার পর শনিবার রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ (Victory speech) দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আর সেখানেই কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে ওয়াকফ (Waqf law) নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন তিনি। ওয়াকফ আইনকে কংগ্রেসের (Congress) তোষণের রাজনীতির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি প্রচারের জন্য আইন তৈরি করেছিল। ওয়াকফ বোর্ড এটির একটি উদাহরণ। আম্বেদকরের তৈরি সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনও স্থান নেই। কিন্তু কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্য এটিকে সমর্থন করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে কংগ্রেস পরিবার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে।’ পাশাপাশি গান্ধি পরিবারকে তোপ দেগে মোদি অভিযোগ করে বলেন, ‘জাতিভেদ ও বিভাজনের বিষ ছড়ানো হচ্ছে।’
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে এর আগে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগান তুলেছিলেন মোদি। শনিবারও বিজয় ভাষণে এই স্লোগান তুলে মোদি বলেন, ‘হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় মহামন্ত্র ছিল- এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের পক্ষে এককভাবে ক্ষমতা লাভ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।’ বিরোধী দলকে তিনি পরজীবী বলেও কটাক্ষ করেন। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে দলগুলির ব্যাপক বিরোধিতার মুখে মহারাষ্ট্রের জয় বিজেপির জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে এদিন মোদির ভাষণে উঠে এসেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গও। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। এই প্রসঙ্গেই মোদি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল দেশে দুই রকম সংবিধান চাইছে। তবে মহারাষ্ট্রে জয়ের পর আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, দেশে শুধুমাত্র বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থাকবে। দ্বিতীয় কোনও সংবিধান হবে না। কেউ কেউ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চাইছে। কিন্তু তাঁদের আজ আমি বলে দিচ্ছি, চাইলেও তারা কেউ ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।