ডে-লাইট ক্লাবের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন গিরি মহারাজ

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ অক্টোবর : চলছে উৎসবের মরসুম। শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো। দেবী দুর্গা, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয় হয়।নিউ শিলচর এলাকার সবচেয়ে পুরনো দুর্গাপূজা হিসেবে পরিচিত ডে-লাইট ক্লাবের সর্বজনীন দুর্গাপূজাটি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ডে-লাইট ক্লাবের ৬৪ তম সর্বজনীন দুর্গাপূজাটির ষষ্ঠী পূজার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে উদ্ধোধন করেন শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ। দুর্গাপূজাটি এবারের থিম হলো মাতৃ শক্তির উপর ভিত্তি করে।
বক্তব্যে ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দুর্গাপূজা বা শারদীয় দুর্গোৎসব সবথেকে বড় উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ ও পৃথিবীর সকল সনতান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি। দুর্গোৎসব কখন, কিভাবে শুরু তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ চালু রয়েছে। সনাতন ধর্মীয়দের প্রধান ধর্মগ্রন্থসমূহ যেমন পূরাণ, মহাভারত, রামায়ন, ধর্মীয় কাব্য ও নানা ঐতিহাসিক গল্প থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় সভ্যতায় বিভিন্ন মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল। তেমনি আর্য সভ্যতায় প্রাধান্য ছিল দেবতাদের। পাশাপাশি অনার্য সভ্যতায় প্রধান ছিলেন দেবীরা। ভারতীয় উপমহাদেশে মাতৃরূপে দেবী পূজা পদ্ধতি অতি প্রাচীন।বর্তমানে প্রচলিত দুর্গাপূজা দুইভাবে হয়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে পরিবারিক কাঠামোতে। যেখানে পূজার শাস্ত্রীয় বিধান, নিয়মনিষ্ঠা অধিক পালন করা হয়। বারোয়ারি বা সার্বজনীনভাবে এলাকাভিত্তিক দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যা বারোয়ারি বা সর্বজনীন পূজা নামে পরিচিত।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি রাজু দে, উপ-সভাপতি শেখরশোভন দে, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ বণিক, কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব পাল চৌধুরী সহ আরো অন্যান্যরা।

