ফের বিতর্কে আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরু
২ অক্টোবর : ফের বিতর্কে আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরু। বুধবার সকালে দেড়শো জন পুলিশ অফিসারের একটি দল তাঁর থন্ডামুথুর আশ্রমে তল্লাশি চালাল।
মাদ্রাজে ইশা ফাউন্ডেশন নামে সদগুরুর একটি যোগকেন্দ্র রয়েছে। যোগকেন্দ্রকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তামিলনাড়ুর এক অধ্যাপক। সেই সূত্র ধরে অভিযান পুলিশের। তিনি অভিযোগ করেন, এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু তাঁর দুই মেয়েকে ব্রেনওয়াশ করে এই যোগকেন্দ্রে আটকে রেখেছে। দশ বছর ধরে তাঁর মেয়েরা সেখানেই রয়েছে। এমনকি তাদের মাথা ন্যাড়াও করা হয়েছে। এক প্রকার সন্ন্যাসী জীবন যাপন করছেন তারা।
ওই অধ্যাপকের মেয়েদের বয়স ৪২ এবং ৩৯ বছর। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপকের করা ওই মামলা ওঠে মাদ্রাজ হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, কেন ঈশা ফাউন্ডেশন এর কিশোরীদের মাথা ন্যাড়া করা হচ্ছে? উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপকের মেয়েরাও। তারা অবশ্য আদালতকে জানায় তারা স্বেচ্ছায় এখানে থাকছেন। ইশা ফাউন্ডেশনের তরফে বলা হয়, কোনও মেয়েকেই সেখানে জোর করে থাকার জন্য বাধ্য করা হয় না।
বিচারপতি সদগুরুকে কটাক্ষ করে বলেন, যে ব্যক্তি নিজে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, অন্যদের ক্ষেত্রে তিনি কেন পার্থিবজগতের মায়া ত্যাগ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন? প্রসঙ্গত, সদগুরুর মেয়ে রাধে জগ্গি পেশায় ভারতনাট্যম শিল্পী। তিনি ২০১৪ সালে চেন্নাই য়ের ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতশিল্পী সন্দীপ নারায়ণকে বিয়ে করেন।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এটা ছাড়াও সদগুরুর বিরুদ্ধে বনভূমির জমি জবরদখল, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ ধ্বংসের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এছাড়াও যৌন হেনস্তার অভিযোগও সামনে এসেছে। এরপরই পুলিশকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরই বুধবার সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয় সদগুরুর যোগকেন্দ্র ইশা ফাউন্ডেশনে।
খবর : আজকাল ডট ইন।