ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক
বরাক তরঙ্গ, ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার,
মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে কিছু লোক। যাদের গ্রামের মানুষ ‘ডাক্তর’ বলে সম্বোধন করে আসছেন। তাদের দ্বারস্থ হয়ে অনেকে পরিজন হারাও হয়েছেন। কিন্তু নিরব ভূমিকায় ছিল সমাজ।
সম্প্রতি একটি নিউজ পোর্টালে সংবাদ পরিবেশনের পর সেইসব হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরও অনেকেই দিব্যি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে তাদের প্রভাব বেশি। এর বহু কারণ রয়েছে প্রথমত গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে দ্বিতীয়তঃ আর্থিক দুরবস্থা। গ্রামের সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে তাদের দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতে প্রথমেই গ্রামের লোক তাদের রোগীদের নিয়ে এসব লোকের কাছে পৌঁছান। আবার কেউ কেউ আর্থিক অনটনের জন্য চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে কোনমতে সুস্থ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ওইসব হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তারা এই সুযোগ নিয়ে নানা ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা শুরু করেন। এতে প্রায় অঘটন ঘটে যায়। তারপরও অনেকেই ক্লিনিক খোলে চিকিৎসার কাজ চালিয়ে যেতে দেখা যায়। মানুষের অসহায়বোধ নিয়ে ছেলে খেলা করে ওইসব লোকরা। তারা সবকিছু সমাধান বা সুস্থ হয়ে উঠারও গ্যারান্টি দিয়ে গরিব অসহায় লোকদের পাশে টেনে নেয়। চিকিৎসকের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ তাদের মুখ থেকে খুবই কম শোনা যায়। যুগ যুগ ধরে গ্রাম এবং গ্রামান্তরে ওই সব লোকরা নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে চিকিৎসার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি শিলচরের এক নিউজ পোর্টাল এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করে। সংবাদে দেখা যায় শুধু গ্রাম নয় শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও তারা কাজ করছেন। যদি এমনটা হয় তাহলে মানুষ তার চিকিৎসা থেকে ভরসা হারাবে। এই সংবাদ পরিবেশনের পর পুলিশ নড়েচড়ে বসলেও ধরপাকড়ের কোন খবর নেই। এতে কী আড়ালে ওইসব বেসরকারি হাসপাতাল বা অন্য কোন প্রতাপশালীর হাত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ভূ-মাফিয়া, অবৈধ কাজি, অনলাইন ট্রেডিংকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিলেন সেভাবেই ভুয়ো চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা আবশ্যক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হোক। বেসরকারি হাসপাতালের সেবিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হোক। যদি এমনটা হয় তাহলে ওইসব বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হোক। সেটাই সময়ের দাবি।