বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম প্রয়াণ দিবস পালন শিলচরে

বরাক তরঙ্গ, ২৯ জুলাই : ভারতের নবজাগরণ আন্দোলনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩৪ তম প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে এআইডিএসও’র কাছাড় জেলা কমিটি। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯ টায় শিলচরের শহিদ ক্ষুদিরাম মুর্তির পাদদেশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি বসিয়ে মাল্যদান করেন সংগঠনের সভাপতি স্বাগতা ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্ধৃতি প্রদর্শনী করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের সামনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন স্বাগতা ভট্টাচার্য।

বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম প্রয়াণ দিবস পালন শিলচরে

তিনি বলেন, ভারতীয় সমাজে যখন মধ্যযুগীয় বর্বরতা, কুপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতার বলি হচ্ছিল সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে মেয়েরা তখন প্রচলিত ধ্যান ধারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের গুরুত্ব সমাজে শুধু তিনি তুলে ধরেছিলেন তাই নয় বরং লড়াই করে গড়ে তুলেছিলেন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা। চালু করেছিলেন স্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিধবা বিবাহ চালু ও বহু বিবাহ প্রথা বাতিলের মতো সাহসী পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভারতবর্ষে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলেন।

বিদ্যাসাগরের ১৩৪তম প্রয়াণ দিবস পালন শিলচরে

স্বাগতা ভট্টাচার্য আরও বলেন, বর্তমান কেন্দ্র সরকার তার চিন্তার বিপরীতে শিক্ষার ব্যক্তিগতকরণ, ব্যবসায়ীকরণ ও সাম্প্রদায়িককরণ ঘটানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০ প্রণয়ন করে। এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের দানে গড়ে উঠা হাজার হাজার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাকে ক্রমশ ব্যয়বহুল করে দিয়ে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা লাভের সুযোগ সংকোচিত করা হচ্ছে। তিনি বিদ্যাসাগরের চিন্তাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০ সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বান জানান।

Author

Spread the News