বর্ধিত জলকর ও অন্যান্য পুরকর প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার গণধরনা সমন্বয় মঞ্চের
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ জুলাই : শিলচর পুরসভা জলকর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ল্যান্ড ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধিকে বেআইনি ও অন্যায়ভাবে বাড়ানোর অভিযোগ তুলে দু’ঘণ্টার গণধরনার ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল নাগরিক সমন্বয় মঞ্চ। আগামী ২৯ জুলাই অর্থাৎ সোমবার গণধরনা পালন করবে সমন্বয় মঞ্চ। শনিবার শিলচর সিটিভিওতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন মঞ্চের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, পুরসভা একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। যেখানে নির্বাচিত বোর্ড ছাড়া কেউ কোনভাবেই কর বৃদ্ধি করতে পারে না। বেআইনি ভাবে বাড়ানো কর কোন ভাবেই শহরবাসী মানবেন না।
তাঁরা বলেন, শহরের বেহাল নাগরিক পরিসেবা সহ পুরকর বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে মঞ্চ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পুরসভা কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বিষয়টি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি সরকারের তরফেও নেই কোন হেলদোল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনমানসে ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। মঞ্চের তরফে ডাকা গণধরনাযকে সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ। সাড়া দিয়েছেন শহরের ব্যবসায়ী মহলও। তাঁরা বলেন, কাদের দায়ে মানুষ শহরের বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কেন সাধারণ মানুষকে দুর্গন্ধযুক্ত জল পান করানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলেন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন মঞ্চের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া শহরের বেহাল সড়কের সংস্কার, জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বন্যার স্থায়ী সমাধান সহ অন্যান্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে এদিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।
এছাড়াও অমৃত প্রকল্প, জল জীবন মিশন ইত্যাদি নানা প্রকল্পের নামে শহরের বিপর্যস্ত জনজীবন থেকে পরিত্রাণ পেতে নতুন পুরসভা বোর্ড গঠনের দাবি তুলেছে প্রগতিশীল নাগরিক সমন্বয় মঞ্চ। নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত কর প্রদান করা থেকে সকলকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়ে বর্দ্ধিত জলকর ও অন্যান্য পুরকর প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার ডাকা দু’ঘণ্টার গণধরনাকে সফল ও সার্থক করে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন মঞ্চের কর্মকর্তারা। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কিশোরকুমার ভট্টচার্য, ধ্রুবকুমার সাহা, ডা. শান্তিকুমার সিংহ, বাসুদেব শর্মা, আশু পাল, হিল্লোল ভট্টচার্য প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শহরের নাগরিক পরিসেবার বেহাল অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজে বের করতে গত ১৪ জুলাই “প্রগতিশীল নাগরিক সমন্বয় মঞ্চ” গঠন করা হয়েছিল। এবং মঞ্চ গঠনের পর থেকে শহরের বেহাল নাগরিক পরিসেবা নিয়ে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থার কর্মকর্তারা।