ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সুন্দরবন এলাকা থেকে ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার
২৯ মে : ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এপর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এছাড়া মিলেছে বিভিন্ন প্রাণির আহত ও মৃত্যুদেহ। জঙ্গলে গাছ উপচে পড়েছে হাজার হাজার। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এখনও কাজ করছে বন বিভাগ। মিলছে নতুন নতুন ক্ষত।
বাংলাদেশের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, যদিও সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে অভ্যস্ত। সাধারণত জলোচ্ছ্বাস হলে বন্যপ্রাণীরা উঁচু স্থান ও গাছে আশ্রয় নেয়। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বনের ভেতর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ফলে বনের উঁচু স্থানও তলিয়ে যাওয়ায় প্রাণীদের আশ্রয় নিতে সমস্যায় হয়। অধিক জলোচ্ছ্বাসের ফলে নিরাপদ আশ্রয়ে না যেতে পেরে হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগের খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৭টি হরিণ। জলোচ্ছাসে ১০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় ওঠায় লবণপানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে গহীনবনের মধ্যে থাকা ৮০টি মিঠা জলের পুকুর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের মধ্যে থাকা বন বিভাগের ২৫টি টহল ফাঁড়ি। হরিণের পাশাপাশি আরও বন্যপ্রাণী মারা যেতে পারে। সেসব মৃত প্রাণীর খোঁজে বনরক্ষীরা তৎপর রয়েছেন।