নাবালিকা অপহরণ কাণ্ড, গ্রেফতার এক যুবক
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ মে : অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাথারকান্দি বাজারিছড়া থানাধীন আসাইঘাট গ্রামের নাবালিকা অপহরণ কাণ্ডে জড়িত অভিযুক্ত এক যুবক। তবে এখনও বেহদিশ অপহৃতা নাবালিকা। এতে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন পরিবারের লোকেরা। জানা গেছে দশম শ্রেণীতে পাঠরত এক নাবালিকা অপহরণ কাণ্ডের ছয় দিনের মাথায় অভিযুক্ত অপহরণকারী যুবককে ত্রিপুরার উদয়পুর থেকে আটক করে বাজারিছড়া পুলিশ। পরে ধৃতকে সমঝে দেওয়া হয় করিমগঞ্জ জেলা সিজেএম আদালতে। শেষে আদালতের নির্দেশে তার ঠাঁই হয় জেল হাজতে। কিন্তু ঘটনার বারোদিন পরও অপহৃতা নাবালিকাটির কোনও হদিশ বের করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নাবালিকার পরিবারের লোকেরা।
জানা গেছে, নাবালিকা তার বড় বোন ও মায়ের সঙ্গে গত দীর্ঘদিন ধরে লোয়াইরপোয়া ব্লকের ডেঙ্গারবন্দ জিপির আসাইঘাট গ্রামের কৃপাসিন্ধু গোস্বামীর বাড়িতে আশ্রিতা ছিল।ওখানে থেকেই এই মেয়েটি লেখাপড়া চালিয়ে যায়। ২৪ মে মঙ্গলবার সকালে এই নাবালিকাটি স্কুলে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে আর ঘরে ফিরেনি। এতে গোস্বামী পরিবার সহ মেয়ের মা ও বোন দুশ্চিন্তায় পড়েন। নাবালিকাটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার সময়ে গোস্বামী পরিবারের কিছু নথিপত্র সহ নগদ অর্থও হাতিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে তারা জানতে পারেন যে তাকে বিয়ে করবে বলে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে পালিয়ে নিয়ে গেছে দুল্লভছড়া শ্রীকৃষ্ণপুরের বলাই গোস্বামীর একুশ বছরের ছেলে রাজীব গোস্বামী। ছেলেটি গত কিছুদিন ধরে স্থানীয় রাধাপ্যারী বাজারের এক বাড়িতে থেকে রং মেস্তরীরর কাজ করত। শেষে এ কাণ্ডে পুলিশে নালিশ জানালে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় নাবালিকাটি ছেলেটির প্রতারনার জালে পা দিয়ে প্রথমে একটি ছোট বাহনে করে বাড়ি থেকে বের হয় পরে পথে রাজীবও বাহনে চেঁপে বদরপুর পৌছায়। পরে তারা ট্রেনযোগে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। এ কান্ডে পুলিশ পলাতকদের মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে গত ২০ মে এতে জড়িত যুবককে ত্রিপুরার উদয়পুর থেকে ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করে।কিন্তু মেয়েটির কোন হদিশ পাওয়া যায়নি এখনও।
এ দিকে, বাজারিছড়া থানার ওসি নিলভজ্যোতি নাথ জানান নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সবদিকে পুলিশি জাল বিছানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে।