২৬শে মে সম্মিলিত লোকমঞ্চের ধামাইল দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মে : বরাক উপত্যকায় যেহেতু শ্রীহট্টীয় জনগনের সংখ্যাধিক্য বর্তমান, তাই এই উপত্যকায় শ্রীহট্টীয়মূলের লোকাচার ও কৃষ্টি সংস্কৃতিও প্রকটভাবে বিদ্যমান। শ্রীহট্টীয় বা সিলেটিদের লোকসংস্কৃতিতে বিভিন্ন পূজাপার্বণ, বৈবাহিক অনুষ্ঠানে স্ত্রীআচার ও নিত্যদিনের লোকচর্চায় ধামাইল সংস্কৃতি ( সমবেত নৃত্যগীত) অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এই সংস্কৃতি বরাক উপত্যকায় এসে সর্বজনীন হয়েছে ও প্রতিটি বরাকবাসীর হৃদয়ে অহঙ্কারের জায়গায় বসবাস করছে।বর্তমানে এই সংস্কৃতি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই ধামাইল শিল্প এখন আর ক্ষুদ্র জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই, বিস্তৃত জনপদে এর প্রভাব অপরিসীম। এই ধামাইল সংস্কৃতি বরাক উপত্যকার ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে। তাই শিলচরের লোক সংস্কৃতির দল ‘সম্মিলিত লোকমঞ্চ’ এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এর প্রচার ও প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করছে। যেহেতু এই ধামাইল শিল্পের জনক প্রয়াত রাধারমণ দত্ত, তাই তাঁর জন্মদিনটিকে স্মরণীয় ও অমর করে রাখতে আগামী ২৬শে মে দিনটিকে একযোগে ‘ধামাইল দিবস’ রূপে উদযাপনের উদ্দেশ্যে সমগ্র বিশ্ব কিছু কার্যসূচি হাতে নিয়েছে। শিলচরের সম্মিলিত লোকমঞ্চও সেই লক্ষ্য সাফল্য মণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে আগামী ২৬শে মে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্মিলিত লোকমঞ্চ চায় বরাকের সর্বস্তরের জনগণ এই প্রচেষ্টায় সামিল হয়ে এই কর্মযজ্ঞকে সাফল্যমণ্ডিত করে উঠুক। সবার কাছে আহ্বান রইল এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে সম্মিলিত লোকমঞ্চের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার। বর্তমান প্রজন্ম যদি ঐতিহ্য, কৃষ্টি সংস্কৃতি ধরে রাখতে না পারে তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম এর আস্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে। ওদের জন্য আলোর বাতিটি রেখে গেলে ওরা সেই আলোয় পথ দেখে এগিয়ে যেতে পারবে। তাই সবাই এগিয়ে আসুন, আমাদের উৎসাহ দিন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করে এর নির্যাস গ্রহণ করে আমাদের এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সফল করুন। সিলেটের এই সমৃদ্ধ ও স্বতন্ত্র ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে হলে এর সঠিক প্রচার ও প্রসারের ভীষণ প্রয়োজন। এক প্রেস বিবৃতিতে সম্মিলিত লোকমঞ্চের প্রচার সম্পাদক কমলেশ দাশ এ খবর জানিয়েছেন।