গ্রিনফিল্ড মামলা সঠিক ভাবেই এগোচ্ছে, সন্তুষ্ট সোশ্যাল হারমনির
বরাক তরঙ্গ, ২২ এপ্রিল : ডলু গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টে থাকা ফোরাম ফর স্যোসাল হারমনি ও দু’টি সহযোগী সংগঠনের আপিল মামলার সোমবার নির্ধারিত দ্বিতীয় শুনানি হয়েছে। অসম সরকার প্রাথমিকভাবে সংক্ষিপ্ত শপথনামা দাখিল করে পূর্নাঙ্গ শপথনামা দাখিলের জন্য সময় চেয়েছে। অসম সরকার চা-গাছ কাটাকে স্বীকার করেছে এবং কোন বসতবাড়ি উচ্ছেদ হয়নি এবং কোন ছায়া গাছ কাটা হয়নি বলেছে। সরকারের বক্তব্য চা-গাছ কাটা চা-বাগানের নিয়মিত ব্যাপার। কিন্তু এটা বলেনি বয়ষ্ক গাছ কাটার সঙ্গে সঙ্গে নতুন গাছ লাগানো ও হয়ে থাকে চা-বাগানে। মোট গাছের সংখ্যা সমান থাকে।
ডলুতে যা হয়েছে তা নিয়মিত এবং চা-চাষ সংক্রান্ত নয়। একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ চা গাছ কাটার এটা কোন যুক্তিই নয়। ১৪৪ ধারা বলবৎ করে পুলিশ মিলিটারি মতায়ন করে রণসজ্জায় দেড়শতাধিক বুলডোজার লাগিয়ে ৪২ লক্ষ চা-গাছ উপড়ে ফেলা নাকি বাগানের নিয়মিত কাজ! এটাও বিশ্বাস করতে হবে? যদি বসতি উচ্ছেদ করার দরকার নাই থাকে তবে, কোয়ার্টার গুলো কেন তৈরি করা হচ্ছে।
এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোন কাজ করা হবেনা বলেও শপথনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। স্থগিতাদেশ থাকায় এনভায়রনমেন্টাল ইম্পেক্ট এসেসমেন্ট ও করা যাবে না (যা সরকার করতে চায়), এই যুক্তিতে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন জানান সরকার পক্ষের হয়ে সলিসিটর তুষার মেহেতা। সর্বোচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এক বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিলের জন্য জেলা আইন সেবা কতৃপক্ষকে (DLSA) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজকের আদেশের কপি এখনো পর্যন্ত আমরা পাইনি যদিও, এটুকু জানতে পেরেছি। এতে আমরা সন্তুষ্ট, সঠিক ভাবেই এগোচ্ছে মামলা। DLSA এক নিরপেক্ষ ও বিচারবিভাগের অধিন সংস্থা হিসেবে সঠিক তথ্য সহ বাস্তব সত্য তুলে ধরবে আদালতে। এক প্রেসবার্তায় ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির আহ্বায়ক শিশির দে ও অরিন্দম দেব জানিয়েছেন এ খবর। ফাইল ছবি।