পালোরবন্দে চা বাগান শ্রমিকদের বিভিন্ন ন্যায্য দাবি নিয়ে সভা
বরাক তরঙ্গ, ১৯ এপ্রিল : পালোইবন্দ চা-বাগানের নাচ ঘরে কয়েক দফা ন্যায্য দাবি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার আয়োজিত সভায় অংশ নেন নারায়ণপুর, আলিপুর, ডলুগ্রাম, স্কটপুর, পালোইবন্দ এই পাঁচটি বাগানের কর্মরত প্রায় দুই হাজারের অধিক পুরুষ ও মহিলা চা-শ্রমিক।
সভায় উপস্থিত লক্ষীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বরাক চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক রাজদীপ গোয়ালা বলেন, চা-শ্রমিকেরা যেভাবে কষ্ঠ করে কাজ করছেন, এর তুলনায় বাগানের পক্ষ থেকে যেসব সুবিধা পান, তা খুবই ন্যূনতম। তবুও এই ন্যূনতম সুবিধার থেকেও বঞ্চিত করছে এই বাগান মালিক কর্তৃপক্ষরা। বিগত দশ বছর থেকে এই পাঁচটি বাগানের খেটে খাওয়া চা-শ্রমিকদের গ্র্যাচুয়িটি ও পেনশন পেনশন বন্ধ, এগারো মাস থেকে রেশন বন্ধ, নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি পাচ্ছেন না, দুই বছর থেকে পিএফ ফান্ড বন্ধ, শ্রমিকদের নতুন ঘর বানিয়ে দেওয়া সহ আরও অন্যান্য ন্যায্য সুবিধা গুলোও বন্ধ করে রেখেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এই চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো তিনি বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন এই পাঁচটি বাগানের অসহায় খেটে -খাওয়া চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পাইয়ে দেওয়ার জন্য এবং তিনি সর্বদা শ্রমিকদের পাশে থাকবেন ও আগামীদিনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চা-শ্রমিকদের জন্য যেসব করনীয় আছে তা করবেন।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ব্রিজেশ রবিদাস বলেন, এই চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য মালিকপক্ষ ভাঁওতাবাজি দিয়ে কাজ করাচ্ছেন, সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক কাজ। তাই এই পাঁচটি ন্যায্য দাবি গুলোর উপযুক্ত ব্যবস্থা অতিস্বঃত্বর নেওয়া না হলে গণতান্ত্রিক ভাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উনারা ভোট বয়কট করবেন বলে হুমকি দেন। সেদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ক্ষীরোদ কর্মকার, দীপক উপাধ্যায়, অশোক কর্মকার, সন্তোষ রী, আব্দুল জাব্বার, হিরো মুড়া, বাচ্চু চাষা এবং উপস্থিত ছিলেন হিমু ভূমিজ, যতন গোস্বামী, রাজু তন্তুভাই, নাজির আলী সহ আরো অন্যান্যরা।