বরাক ধামাইল উৎসব সম্পন্ন, সেরা স্থান দখল শিলচরের ঋতুপর্ণা গ্রুপের
বরাক তরঙ্গ, ২৬ ফেব্রুয়ারি : ইয়ুথস অ্যাগেইনস্ট সোশ্যাল ইভিলস (ইয়াসি) ও বরাক সংস্কৃতি প্রেমী মঞ্চের ‘বরাক ধামাইল উৎসব ২০২৪’ প্রতিযোগিতায় সেরা স্থান দখল করেছে শিলচরের ঋতুপর্ণা গ্রুপ।শিলচর চিলড্রেনস পার্কে দু’দিন ব্যাপী আয়োজিত উৎসবের ‘মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে হাইলাকান্দির রাধারানি ডান্স গ্রুপ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে করিমগঞ্জের নৃত্য সঙ্গম গ্রুপ। এ ছাড়া ফাইনালে আকর্ষনীয় প্রদর্শনের জন্য শিলচরের লোকনাথ ধামাইল গ্রুপকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বরাকের তিন জেলার ১৫টি সেরা ধামাইল দল অংশগ্রহণ করে।
এ দিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সম্মানিত অতিথি রজত গুপ্ত, বরাকবঙ্গের কাছাড় জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেব লস্কর, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী, দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার কর্ণধার বিজয়কৃষ্ণ নাথ, শিলচর ডিএসএ- এর সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সৌমিত্র দত্ত রায়, প্রধান উপদেষ্টা (কমিটির) রসরাজ দাস, ইয়াসির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব রায়, মুখ্য আহ্বায়ক গৌতম সরকার, শান্তনু রায়, পিনাকপানি নাথ, কৃষ্ণেন্দু নাথ, কিশোর দত্ত রায়, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, বন্দিতা ত্রিবেদী রায় প্রমুখ।
ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সপ্তজিত দে, কাছাড় জেলা পরিষদের সিইও রঞ্জিতকুমার লস্কর , কবিতা সেনগুপ্ত, চঞ্চল ভট্টাচার্য, ডিএসএ-র সম্পাদক অতনু ভট্টাচার্য, চন্দ্রাবতি রায়, বিপ্রজিত চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন অনিমেষ দে, মধুমিতা ভট্টাচার্য ও মৌসুমি নাথ। বন্দিতা ত্রিবেদী রায় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন এবং সুন্দর ভাবে পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। বক্তারা ধামাইলকে এভাবে প্রচার করার জন্য আয়োজকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এই মঞ্চে দু’টি সংস্থার পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক জগতে বিশেষ অবদানে শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয় এবং ধামাইলকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বীণাপানি নাথকেও সম্মান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘বরাক ধামাইল উৎসব’ এর ফাইনালে প্রথম পুরস্কার ছিল নগদ দশ হাজার টাকা ও ট্রফি। স্পনসর ছিলেন সপ্তজিত দে, দ্বিতীয় পুরস্কার সাত হাজার টাকা ও ট্রফি। স্পন্সর রঞ্জিতকুমার লস্কর ও তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ হাজার টাকা ও ট্রফি। স্পনসর ছিলেন কবিতা সেনগুপ্ত।