সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া ভাঙারপারে
বরাক তরঙ্গ, ১৬ নভেম্বর : অসম সরকারের নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছে সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠান। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত প্রতিটি এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের প্রতিভা জেলা স্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত দেখাতে পারে, সেই দিকে খেয়াল করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খেল মহারণ উৎসব শুরু করেছেন। এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার ভাঙারপার গোলকনাথ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভাঙারপার জিপি সভানেত্রী আসমতারা বড়ভূইয়া, শালচাপরা ব্লকের অফিসার সহ ব্লকের আধিকারিক সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক মহা সংগ্রাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা নাচ, গান, নিত্য, ধামাইল সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিভা তুলে ধরে তাক লাগিয়ে দেন।
এদিকে শালচাপরা বিডিও বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, বিশিষ্ট গায়ক মহাম্মদ রফি আকাশ থেকে পড়ে গায়ক হননি। বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে উনার প্রতিভা তুলে ধরেছিলেন, অনেক কষ্ট সহায় করে নিজেকে সাফল্য করে তুলেছিলেন। নিজের প্রতিভা নিয়ে বাড়িতে বসে থাকলে কেউ মূল্য দিবে না। তাহা জনসমুক্ষে তুলে ধরতে হবে। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন কাছাড় জেলা বিজেপির মাইনোরেটি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক বড়ভুইয়া, তিনি বলেন, আমাদের গ্রাম গঞ্জে অনেক ছেলে মেয়েরা রয়েছেন যাদের প্রতিভা তুলে ধরার মতো কেউ নেই, একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাদেরকে মুল্যায়ন করেছেন। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তায় রাজ্যের প্রতিটি এলাকার ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। একদিন আমাদের গ্রামের ছেলে মেয়েরা তাদের প্রতিভা দেখিয়ে আমাদেরকে গর্বিত করবে।
তাছাড়াও শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি নিজের সাংস্কৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপি সংখ্যালঘু বিভাগের সদস্য নুরুল আলম মজুমদার, ভাঙারপার সহানুভূতি সংস্থার সম্পাদক নজরুল হক লস্কর, বিশিষ্ট সমাজসেবক আফতার উদ্দিন তালুকদার, গ্রুপ সদস্য রাজুল হক বড়ভূইয়া, গ্রুপ সদস্য ফখরুল ইসলাম তালুকদারপ্রমুখ।
প্রতিবেদক : ঝুৃমি নাথ, বড়খলা।