ধর্মীয় সমাবেশেই পরপর বিস্ফোরণ, হত এক, আত্মসমর্পণ
২৯ অক্টোবর : প্রার্থনা চলাকালীন ধর্মীয় সমাবেশেই পরপর বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয়েছে এক জনের, আহত কমপক্ষে ৪৫। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত ৬ জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর, আশঙ্কাজনক।
রবিবার সকালে কেরলের কোচিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
জানা গিয়েছে, কেরল বিস্ফোরণ কাণ্ডে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। নাম ডমিনিক মার্টিন। বয়স ৪৮। কেরলের এডিজিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি বিস্ফোরণের দায় নিয়ে আত্মসমর্পন করেছেন, তিনি দাবি করেছেন, ওই সভার সদস্য বলে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে। তার বাড়ি গুজরাটে বলে জানা যায়। ব্যক্তির দাবি যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়েছে কেরল। কোচি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ধর্মীয় সমাবেশে পরপর ৩ বার বিস্ফোরণ হয়। উপস্থিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরেই হয় প্রথম বিস্ফোরণ, তারপর আরও দুবার। ওই প্রার্থনা সভায় রবিবার অন্তত ২ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ২৭ অক্টোবরের শুরু হওয়া ওই প্রার্থনা সভার শেষ দিন ছিল রবিবারই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, টিফিন বক্সের ভেতর বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আইইইডি ডিভাইস।
অন্যদিকে কেরল বিস্ফোরণের পর উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে কর্ণাটক সীমান্ত, দিল্লি এবং মুম্বইয়ে। একদিকে উৎসবের মরসুম, অন্যদিকে বিশ্বকাপের উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে নিরপত্তার নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।