বিজেপি-এজিপি নেতা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান আমিনুলের

নিপ্পু লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর : বিজেপির মুখোশধারী জার্সি পরে এবার কোনও লাভ হবে না। রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবেন। কৌম রক্ষার দোহাই দিয়ে বিধায়ক হয়ে ভোটারদের সাথে  প্রতারণার জবাব দিতে প্রস্তত  হচ্ছেন সোনাইর গণদেবতা। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সোনাইর সুন্দরীতে সংবর্ধনা সভায় দাঁড়িয়ে এভাবে বিধায়ক সাজুকে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আমিনুল হক লস্কর। তিনি বলেন, আমি বিজেপির জার্সি পরে  দু’বার সোনাইবাসীর কাছে ভোট চেয়েছিলাম। শতকরা ৯০ শতাংশ হিন্দুর ভোটে প্রথমবার বিজেপির বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। হিন্দুর চেয়ে মুসলিমদের জন্য বেশি কাজ করেও লাভ হয়নি। গত নির্বাচনে বিজেপির জার্সি পরে আসায় সোনাইর ভোটার আমাকে নিরাশ করেছেন।   মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট কেন্দ্র হিসাবে বিজেপি প্রায় অচল সোনাইয়ে। ২৬ শে বিধানসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে সোনাইর বিধায়ক বিজেপির মুখোশধারী এজিপির জার্সি পরে মাঠে নামার  দৌঁড়ঝাঁপ করছেন। তিনি বলেন, এবার সোনাইর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভোটাররা  বিধায়ক সাজুর প্রতারণা ও বেইমানির কড়া জবাব দেবেন।

এ দিকে, সোনাই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম বের হতেই নড়েচড়ে বসেছেন আমিনুল শিবির। খোদ আমিনুল হক লস্করও খোশ মেজাজে সুর চড়িয়ে প্রতিপক্ষ বিধায়ক সাজুকে গায়েল করতে একের পর এক বাক্যবাণে বিধেঁছেন। তিনি বলেন, বিধানসভায় ঢুকে বিজেপিকে খুসি করতে সংস্কৃত ভাষায় শপথ নিয়েছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ মদতে সোনাইয়ে ৬টি জিপি বিলুপ্ত করা হয়েছে।  মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সব বড় বড় চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড়খলা ও ধলাইয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। গত পাঁচ বছরে বিধায়ক হয়ে সাজু এ সব বড় বড় কাজ করেছেন বলে কটাক্ষ করেছেন আমিনুল।

তিনি বলেন, হাতি চড়ার অভ্যাস নেই সোনাইবাসীর। বিগত দিনে আমি দুবার জোয়ান হাতি নিয়ে সোনাই গিয়েছিলাম। হাতি পছন্দ হয়নি সোনাইর জনতার। এবার বুড়ো হাতি নিয়ে সাজু মাঠে নামতে চাইছেন। হাতি মাঠে মারা যাবে। সোনাই ভোটার অপকর্মের যোগ্য জবাব দেবেন।

এও বলেন, বিজেপি জার্সি পাল্টে কংগ্রেসে যােগ দেওয়ায় দলেও যোগ্য মর্যাদা পেয়েছি। জনগণ ও আমাকে জেতাতে মাঠে নেমেছেন। দল নয়,  বিগত দিনের কাজের ফসল হিসাবে সোনাইবাসী আমাকে আপন করে নিয়েছেন। এই মুখোশধারী থেকে সোনাইবাসীকে সতর্ক থাকার জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন আমিনুল। সঞ্জীবকুমার দাসের পৌরহিত্যে আয়োজিত সভায় জহিরুল ইসলাম  লস্কর বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *