বরাকের প্রকৃতিও সামান্য সাজিয়ে দিলে পর্যটকদের জন্য নেচে উঠতে পারে

।। মিতা দাসপুরকায়স্থ ।।
(প্রাবন্ধিক, শিলচর)
২৯ ডিসেম্বর : আমাদের উত্তর পূর্বাঞ্চল প্রকৃতির যত্নে লালিত প্রাকৃতিক বর্ণনায় কতটুকু সুন্দর আমরা ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশে গেলে বুঝতে পারি। তফাৎ এটাই অন্যান্য প্রদেশে ছোট ছোট জিনিস যেগুলোকে এখানে এতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয় না সেসবকে কেন্দ্র করে বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে। আমাদের উত্তর পূর্ব অঞ্চল যেমন বরাক উপত্যকার কথাই ধরি না কেন— আমাদের সদিচ্ছার অভাব। জনগণের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা থাকলে সরকার উদ্যোগ নিতে বাধ্য।  লাতু, মালেগড়, দূরবীন টিলা, নুনখুলি, বিন্নাকান্দি, খাসপুর, বিদ্রোহী টিলা, ভুবন পাহাড়, বদরপুর ফোর্ট, ইন্দ্রনগর ও বৃহৎ ডলু অঞ্চল এবং বনদুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনেকগুলা ভিউ পয়েন্ট, ওয়াচ টাওয়ার হতে পারে, আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এমনকি আমাদের ধলাই ও চেরাগী বনাঞ্চলেও প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না করে বড় গাছের ছায়ায় অর্থকরী ফসল ব্যবসায়িকভাবে চাষ করে সুদৃশ্য পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এতে বনাঞ্চলও সুরক্ষিত থাকবে ভবিষ্যতে। বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে সেসব পাহাড়ে  নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে শিশুদের খেলার ও বসার জায়গা তৈরি করা যেতে পারে। সাফারির ব্যবস্থাও হতে পারে।

এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় শনবিল তো হতেই পারে তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট। প্রয়োজন এ ব্যাপারে উদ্যম ও উদ্যোগ নেওয়া। প্রকৃতির কোলে শুধুমাত্র প্রকৃতিকে আরো কিছু শুশ্রূষা ও সাজিয়ে দিলেই বরাকে অনেক জায়গাই সুন্দরভাবে পর্যটকদের জন্য খিলখিল করে উঠতে পারে।যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রথমেই সুরাহা করতে হবে টুরিস্ট বাস ,কার ইত্যাদির ব্যবস্থা করে। এখান থেকে হাফলং, জাটিঙ্গা, মাইবং, উমরাংশু, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ঘুরে দেখা যেতেই পারে। যাই হোক, এই লেখার মাধ্যমে স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমার স্বপ্ন কিছুটা রেখে দিলাম এখানে , যদি কোনও কাজে লাগে, যদি অন্যদের মধ্যেও এই স্বপ্নটা কিছুটা জারিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *